কুড়ে ঘরে যীশুর জন্ম দর্শন

প্রকাশিত: ৭:৫১ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪

কুড়ে ঘরে যীশুর জন্ম দর্শন

Manual7 Ad Code

শরীফ শমশির |

Manual4 Ad Code

কয়েক বছর আগে পাথরঘাটা চার্চে সন্ধ্যায় যীশুর জন্মদিন তথা বড়দিন দেখতে গিয়ে এই কয়টি ছবি তুলেছিলাম। চার্চভিত্তিক অনুষ্ঠানে আমি সবসময় যীশুর জন্ম বৃত্তান্তমূলক ছবিগুলো দেখি ভালো লাগে। বিশেষ করে রাতে রঙিন আলোয় সে ছবিগুলোতে যেন একটা আলোকমালা তৈরি হয়। কুঁড়েঘরে এমন উজ্জ্বল জন্মতো তেমন হয় না, হলেও তাঁরা যীশুর ভুবনমোহন হন না। ছোটবেলায় জানতাম, পৃথিবীর অনিন্দ্য সুন্দর মানুষ হলেন যীশু। সেই তালিকায় রবী ঠাকুরও আছেন।
যীশু শুধু সুন্দর নন, তিনি মাতৃপুত্রও বটে। তাঁর আদরের পরিচয় হলো, মেরি- পুত্র বা মরিয়ম- পুত্র।
যীশুর জন্মকাহিনী শ্রুতিমধুর। তাঁর জন্ম গোয়ালঘরে। তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন পূর্বের জ্ঞানীগণ। বেথেলহাম পূর্ব ও পশ্চিমের মেলবন্ধন।
যীশুর জন্ম নিয়ে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি গ্রন্থ রচিত হয়েছে। ইতিবাচক ও নেতিবাচক। যীশুর তাতে কি?
যাঁরা ক্ষমতাবান এবং বিদ্বান তাঁরা কেউ যীশুকে ভালোবাসেন না বার কীর্তি স্বীকার করেন নি। কারণ, যীশুর জন্ম এবং জন্মদাবী অনেকেই নানাভাবে দেখেন। বিশ্বাসী, জ্ঞানী এবং অবিশ্বাসীরা আলাদা আলাদা।
কিন্তু যীশুকে গরীব লাঞ্চিত ও দুঃস্থ লোকেরা ভালোবাসতেন, এখনও ভালোবাসেন। কারণ তিনি ভালোবাসা নামক শব্দটাকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন।
তিনি যখন ভালোবাসা শব্দটা উচ্চারণ করেছিলেন, আড়াই হাজার বছর আগে তখন বঞ্চিত লাঞ্চিত ও রোগগ্রস্ত দরিদ্র মানুষদের শাসকরা ভালোবাসতো না। যীশু বললেন, দরিদ্রের মধ্যে মানবতা, এখানেই ইশ্বর থাকেন। তিনি বললেন দরিদ্র মানবতাকে ভালোবাসো।
তখনই শাসকরা নড়েচড়ে বসলো। গরীবকে ভালোবাসলেতো সিংহাসন থাকে না, শোষণ ও ক্ষমতা থাকে না, পৃথিবী মানবিক পৃথিবী হয়ে যাবে। তাই আর কি! ক্রুশই তাঁর প্রাপ্য হলো! ক্রুশবিদ্ধ যিশু প্রশান্ত, অনিন্দ্য সুন্দর।
জন্মই যাঁর ভালোবাসায়, তিনিইতো সকলকে ভালোবাসবেন।
আনন্দদায়ক যীশুর জন্মদিন; সকলের মঙ্গল হোক।

#
শরীফ শমশির
লেখক, গবেষক

Manual4 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code