সিলেট ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:০২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২৫
বিশেষ প্রতিনিধি | ঢাকা, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ : আগামী বৃহস্পতিবারের (২৩ জানুয়ারি) মধ্যে দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকা খুলে দিয়ে প্রকাশনা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এ সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সব সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে কাকরাইলের এইচআরটি ভবন ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি ২০২৫) এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওছার হোসেন।
তিনি বলেন, ভোরের কাগজের নির্বাহী সম্পাদক এ কে সরকার স্বাক্ষরিত নোটিশে পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ করা হয়েছে, এমন কোনো ঘোষণা আমরা দেখতে পাইনি। আমরা বিশ্বাস করি ভোরের কাগজের প্রকাশনা বন্ধ করা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ভোরের কাগজের প্রকাশনা অব্যাহত থাকবে। অনতিবিলম্বে প্রধান কার্যালয়ের তালা খুলে দিয়ে ভোরের কাগজের প্রকাশনা পুনরায় চালু করার নির্দেশ দেওয়া হোক। আমরা ভোরের কাগজকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই।
ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের গ্রেফতারের বিষয়টি উল্লেখ করে খোন্দকার কাওছার হোসেন বলেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পরে ১৬ সেপ্টেম্বর ভোরের কাগজের সম্পাদক গ্রেফতার হন। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এরপর আমরা দেখলাম ভোরের কাগজের মালিক সাবের হোসেন চৌধুরীর স্বাক্ষরে এ কে সরকার ভোরের কাগজে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নিয়োগপত্র নিয়ে আমাদের অফিসে হাজির হয়েছেন।
তিনি বলেন, এ কে সরকার মূলত সাবের হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন কর্ণফুলী গ্রুপের আবাসিক পরিচালক। গণমাধ্যম বিষয়ে তার কোনো ধরনের অভিজ্ঞতা নেই বলে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। আমরা তার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ একদিন তিনি আমাদের জানালেন সাবের হোসেন চৌধুরী আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চান। এক মিটিংয়ে আমাকেসহ আটজন বিভাগীয় প্রধানের নাম চূড়ান্ত করে ওনাকে জানানো হলে, তিনি ৩০ নভেম্বর আমাদের সঙ্গে বসলেন। সেখানে অর্থ বিভাগের প্রধান আর্থিক সংকটের কথা জানালে তিনি সরাসরি প্রশ্ন করলেন, গত ১৫ বছরে যে আয় হয়েছে সেই টাকা কোথায়? অর্থ বিভাগ তার কোনো উত্তর দিতে পারেনি।
প্রধান প্রতিবেদক আরও বলেন, ভোরের কাগজ অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করেছে ঘোষণা দিয়ে সরকারের কাছ থেকে ৯০০ টাকা কলাম ইঞ্চি হারে বিজ্ঞাপন বিলসহ নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে। কিন্তু আমাদের ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করেনি, নিয়োগপত্র দেয়নি। যদি আমাদের ছাঁটাই করা হয়, তাহলে অষ্টম ওয়েজ বোর্ডের সব সার্ভিস বেনিফিটসহ এরিয়ার বেতন পরিশোধ করতে হবে। যদি ছাঁটাই করা না হয়, তবে যেদিন থেকে যিনি ভোরের কাগজে কাজ শুরু করেছেন সেই তারিখ থেকে নিয়োগপত্র দিতে হবে। অষ্টম ওয়েজ বোর্ডে প্রাপ্য সব বকেয়া বেতন দিতে হবে। এখন থেকে ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন-ভাতা দিতে হবে।
তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে ভোরের কাগজ খুলে দেওয়ার দাবি জানাই। পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রাখার দাবি করছি। সঙ্গে আমাদের সব পাওনা পরিশোধ করার দাবি জানাই।
এসময় ভোরের কাগজের ১১টি বিভাগের প্রধানসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D