করিডোর প্রদানে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির যুদ্ধ চক্রান্তের শিকার হতে পারে বাংলাদেশ: বাম গণতান্ত্রিক জোট

প্রকাশিত: ৬:১০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২৫

করিডোর প্রদানে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির যুদ্ধ চক্রান্তের শিকার হতে পারে বাংলাদেশ: বাম গণতান্ত্রিক জোট

Manual7 Ad Code

বিশেষ প্রতিনিধি | ঢাকা, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ : “মানবিক করিডোর প্রদান করলে সাম্রাজ্যবাদী- আধিপত্যবাদী শক্তিগুলোর যুদ্ধ চক্রান্তের শিকার হতে পারে বাংলাদেশ।”

বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল ২০২৫) দুপুর ১২টায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের অস্থায়ী কার্যালয় মুক্তি ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বামজোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদ (মার্কসবাদী) -এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমরেড মাসুদ রানা,গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি কমরেড আব্দুল আলী, বাসদের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড নিখিল দাস, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড শহীদুল ইসলাম সবুজ।

Manual3 Ad Code

সভায় এক প্রস্তাবে বলা হয়, “আরাকানে মানবিক করিডোর প্রদানের সিদ্ধান্ত একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এ ধরণের সিদ্ধান্তের সাথে দেশের নিরাপত্তা, সামরিক ঝুঁকি, সার্বভৌমত্ব, এ অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর এ বিষয়ে অবস্থান – ইত্যাদি অনেকগুলো বিষয় যুক্ত এবং প্রত্যেকটিই গভীর পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের দাবি রাখে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে ঐক্যমত্য ছাড়া এবং সরকারের পক্ষ থেকে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট করে উপস্থাপন করা ছাড়া এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে সরকার একক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। এ ছাড়াও এই ধরনের অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদসহ সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী শক্তিগুলোর যুদ্ধ চক্রান্তের শিকার হতে পারে বাংলাদেশ।”

সভায় চট্রগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টারমিনাল হ্যান্ডেলিং এর জন্য বিদেশী কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

Manual4 Ad Code

সভায় বলা হয়, “চট্টগ্রাম বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। এর সাথে শুধু বাণিজ্যিক লেনদেন নয়, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নটি যুক্ত। বন্দরের তত্ত্বাবধানে টার্মিনালটি গত ১৭ বছর লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসাবে ভালোভাবে পরিচালিত হওয়া সত্ত্বেও বিদেশী কোম্পানির কাছে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন নেয়া হলো সেটা স্পষ্ট নয়।

Manual6 Ad Code

সভায় এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় কাতারের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলে সমরাস্ত্রের যন্ত্রাংশ তৈরির খাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানানোর বিরোধিতা করা হয়। এ বিষয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের এই ধরনের ব্যবসায়ী উদ্যোগ বাংলাদেশকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলবে। বিদেশী কোনো দেশের সমরাস্ত্রের যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা বাংলাদেশে হতে পারে না।

Manual3 Ad Code

সভায় মহান মে দিবসের সংগ্রামী চেতনাকে ধারণ করে শ্রমিকদের মজুরি, মর্যাদাপূর্ণ জীবন, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য সারাদেশের শ্রমজীবী মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়৷ একইসাথে নিবর্তন মূলক বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ করে শ্রমিক নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের জোর দাবি জানান।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code