সিলেট ১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ, মে ১৭, ২০২৫
ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি, স্নেহভাজন বাকি বিল্লাহর ম্যাসিভ হার্টএটাক ও তাৎক্ষনিক অপরাশনের সংবাদ পেলাম। এখন সে আশঙ্কা মুক্ত হওয়ায় স্বস্তি বোধ করছি। বাকি আমার অনেক ছোট, আমি সংগঠনের দায়িত্ব থাকাকালীন সে ছিল একজন কর্মী। এই বয়সে তার এমন সংবাদ শুনে হতবাক হয়েছি।
সংগঠন করাকালীন ছেলে-মেয়েদের সবসময় বলেছি শরীর স্বাস্থ্যের যন্ত্র নিতে, সিগারেট না খেতে। জীবন যাপনের যতটা সম্ভব শৃংখলা ও নিয়মানুবর্তিতার কথা, সকালে ঘুম থেকে উঠে হাটাহাটি, দৌড়াদৌড়ির কথা বলেছি। সেই সময় অনেকেই এ সব কথার গুরুত্ব দেয়নি। এখন প্রায়ই অনেক সহকর্মীদের রোগব্যাধী ও দূর্ঘটনার কথা শুনি।
আমি ঘুম থেকে ভোরে উঠতাম, নিয়মিত হাটতাম-দৌড়াতাম ও শরীর চর্চা করতাম। এমন কি খাবারের ক্ষেত্রে সচেতন ছিলাম, যে অভ্যাসটা আজো বজায় রেখেছি। আমার যে অভ্যাসটি অনেকের কাছে সেই সময় অবিপ্লব সুলভ মনে হয়েছিল, কেউ কেউ আমাকে সৌখিন বিপ্লবী বলতেন। তারপরো বিপদ হতে পারে- সেটা নিয়ে বড়াই করছি না।
ফিদেল কাস্ত্রো খেলাধূলা ও শরীর চর্চা করতেন। তিনি একজন জাতীয় পর্যায়ের বেসবল খেলোয়ার ছিলেন। হাঁটা ও সাইকেল চালানো ছিল চে গুয়েভারার প্রিয় কাজ। তিনি পার্বত্য অঞ্চলে চলাচল করে ফিটনেস ধরে রাখতেন। হো চি মিন বয়সকালেও নিজেকে ফিট রাখতে প্রচুর হাঁটাহাঁটি করতেন। লেনিন নিয়মিত ব্যায়াম করতেন। মার্ক্সবাদী বুদ্ধিজীবী আন্তোনিও গ্রামসি মস্তিস্ক ও আত্মনিয়ন্ত্রণে বিশ্বাস করতেন। এই সব বামপন্থী নেতা ও বুদ্ধিজীবীরা ব্যক্তিগত শৃঙ্খলা, শরীর চর্চা আত্মনিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে জনতার সংগ্রামে সক্রীয় থেকেছেন। তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, এক জন বিপ্লবীর মস্তিষ্ক এবং শরীর— উভয়ই সুস্থ ও সচল থাকতে হবে।
এই কথাগুলো বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বের বড়বড় বিপ্লবীরাও শত ব্যবস্ততার মাঝেও শরীরের যত্ম নিতেন। সে জন্য বলি, রাজনীতি ও মানুষের জন্য সংগ্রাম করতে হলে- শরীরটাকে ঠিক রাখতে হবে। খেলাধূলা, সাঁতারকাটা, সাইকেল চালানো, হাঁটা-দৌড়ানো, জীম, ইয়োগার অভ্যাস গড়ে তোলা ও বদঅভ্যাস পরিহার করা গুরুত্বপূর্ণ।
#
মঞ্জুরে খোদা টরিক
লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি