রান্না বা ঘরের কাজকে ‘স্কিল’ হিসেবে ভাবা হয়না, অথচ এসব জানা উচিত ছোটো-বড়ো সবার

প্রকাশিত: ৭:১৫ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০২৫

রান্না বা ঘরের কাজকে ‘স্কিল’ হিসেবে ভাবা হয়না, অথচ এসব জানা উচিত ছোটো-বড়ো সবার

সাজিয়া তন্বী |

আমাদের দেশের বেশির ভাগ ছেলেরা যখন লেখাপড়ার জন্য বা চাকরির জন্য ছোট শহর বা গ্রাম থেকে রাজধানীতে আসে, তখন তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় রান্না নিয়ে। যারা মেসে বা একা বাসায় থাকে, তারা প্রায়শই খালাদের রান্না করা খাবার মুখে তুলতে পারে না, আবার নিজেরাও রান্না করতে পারে না। অনেক মেয়েদের অবস্থাও একই রকম হয়।

আমাদের সমাজে কখনো রান্না বা ঘরের কাজকে “স্কিল” হিসেবে ভাবা হয়নি, বরং এটি শুধু নির্দিষ্ট লিঙ্গের কাজ বলে ধরে নেওয়া হয়।

আমরা অনেকেই, বিশেষ করে ছাত্রজীবনে, কখনো রান্না করিনি। (আমিও করি নাই), আমাদের পরিবারে বা সমাজে সহকারী (হেল্পিং হ্যান্ড) থাকা এক সাধারণ বিষয়। ফলে নিজেদের হাতে রান্না শেখার প্রয়োজন বোধ করিনি। অথচ, বাস্তব জীবনে যখন একা হতে হয়, তখন টের পাওয়া যায় রান্না করতে না পারাটা কত বড় অসুবিধা।

বিদেশে, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়টা। ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদের শেখানো হয় নিজেদের কাজ নিজেরা করতে। যেমন, বিছানা গোছানো, কাপড় গুছানো, থালা-বাসন ধোয়া বা সহজ রান্না করা। এই ধরনের শিক্ষা তাদের আত্মনির্ভরশীল ও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।

এখানে ছেলে মেয়ে সবাই সব কাজ পারে, Responsibility share করে যার কারনে কারো উপরে চাপ পরে না।

আমরা এখনো অনেকাংশে বিশ্বাস করি রান্না করা মানেই “মেয়েদের কাজ”। এই ভুল ধারণার কারণে অনেক ছেলেমেয়ে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এক স্কিল থেকে বঞ্চিত হয়। অথচ, রান্না করা মানে শুধুই খাওয়া নয়, এটা একটা জীবনদক্ষতা – যেটা আমাদের সবাইকেই শেখা উচিত।

রান্না, savings, জামাকাপড় ধোয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা ইত্যাদি basic skill গুলো বুড়ো থেকে ছোট সবার জানা উচিৎ! কাজের কোন gender নেই, বাঁচতে হলে জানতে হবে, নাহলে খালাদের শাসনে চলতে হবে, দেখেন যেটা ভালো মনে করেন।
#
©️ Sajia Tonny

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ