সিলেট ১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৫৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২৫
তখন দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে উন্মুক্ত খনন পদ্ধতি ও বিদেশী মালিকানায় কয়লা উত্তোলনের বিরুদ্ধে আন্দোলন তুঙ্গে। এই আন্দোলন একদম গ্রাম পর্যায় কৃষকদের ভেতর গড়ে তোলার কাজ আমরা প্রথম থেকেই ছিলাম, তখন সংস্কৃতির নয়া সেতু করতাম। জাতীয় কমিটি সহ ঢাকার এলিট বামপন্থীরা তখনো ফুলবাড়িতে পা দেয়নি। আমরা পালা করে ফুলবাড়িতে থাকতাম। তো আন্দোলনের এক পর্যায় দেখলাম শহীদুল আলম ঘাড়ে কয়েকটা ক্যামেরা নিয়ে হাজির। একটা তার মধ্যে আবার ইয়াসিকা, মানে সেই ফিক্সড লেঞ্চ ছোটকালে সবার বাড়িতে বাড়িতে এই ক্যামেরা আমরা দেখেছি।
ভাবলাম বড় আলোকচিত্রী সে কারণে আন্দোলনের খবর হয়তো দুনিয়াতে দেয়। এরপর এরকম বহু আন্দোলনে তাকে আমি ক্যামেরা ঘাড়ে দেখেছি। কেন তিনি যেতেন সেটা সব থেকে ভাল তিনিই জানেন। কিন্তু আশ্চর্য্য ঘটনা হলো, ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট ক্ষমতায় আসার পর জেএমবি’র ভয়াবহ খু ন লুট অগ্নিসংযোগ চলতে শুরু করল রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, নওগাতে সেখানে তাকে ক্যামেরা ঘাড়ে করে যেতে দেখলাম না।
মূলত সেটা ছিল বড় জোতদার কৃষকদের পক্ষে জেএমবির একটা প্রক্সিওয়ার। কারণ ওই অঞ্চলের মানুষ বহুদিন ধরে লড়াই সংগ্রাম করে বিস্তীর্ণ খাস জমি তাদের দখলে নিয়েছিল, সেই খাস জমিগুলো আবার ছিল তৎকালীন ভূমিপ্রতিমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আমিনুল হক সহ ওই অঞ্চলের বিত্তবানদের দখলে।
তো এই এলিট বিত্তবানরা গ্রামীণ কৃষি আন্দোলনকে দাগিয়ে দিলেন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (এম এল লাল পতাকা) বলে। এরপর হাজার হাজার নারী পুরুষকে ধরে আনা হলো বাংলা ভাইর ক্যাম্পে। তারপর দিনে দুপুরে তাদের ওপর অত্যাচার করা হতো কথিত সর্বহারা নামে। বৃদ্ধ থেকে কিশোর কেউ বাদ যায় নি। আমি এরকম অনেক গ্রাম ঘুরেছি যেসব গ্রামগুলো পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, সেখানকার গর্ভবতী নারীকে পর্যন্ত নিপীড়ন করা হয়েছে। গ্রামগুলো থেকে ধান, শষ্য, গরু পর্যন্ত ‘জিজিয়া’ কর হিসেবে নিয়ে যায়, কারণ ওইসব গ্রাম নাকি কমিউনিস্টদের গ্রাম। এর প্রেক্ষিত হিসেবে খোলা আকাশের নিচে দরবার বসায় জেএমবি প্রধান সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই। সেখানে মঞ্চে একজন কমিউনিস্টকে ধরে এনে প্লাস দিয়ে নক তুলে ফেলত, তারপর হাতুড়ি দিয়ে আঙ্গুল পিটিয়ে থেতলে দিতো আর তার চিৎকার শোনানো হতো মাইক দিয়ে। তারপর উপস্থিত হাজার হাজার নারী পুরুষকে এই চিৎকার শোনানোর পর গণ তওবা পড়ানো হতো কমিউনিস্ট থেকে মুসলমানে ফেরত আসার জন্য।
এলিজা গ্রিসওল্ড ২৩ জানুয়ারি, ২০০৫ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসে একটা সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, যার শিরোনাম ছিল The Next Islamist Revolution?
এই প্রতিবেদনটি বাস্তবতার নিরিখে কম অত্যাচারের একটা বর্ণনা, সেটাই তখন অনেকে পড়তে পারেন নাই কারণ এটা এতো নির্মম ছিল। এরপরতো এলো র্যাব, বেশুমার মানুষ খুন করল তারা। র্যাব গঠনের পর বিএনপির শেষ সময় পর্যন্ত হাজারের ওপর কমিউনিস্টদের চরমপন্থি আখ্যা দিয়ে খু/ন করল।
গবেষক ও লেখক নেসার আহমেদ দেখিয়েছেন, এমন অনেক ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে যাদের নামে থানায় একটা জিডি (সাধারণ ডায়েরি) বা অভিযোগ পর্যন্ত নেই। এরকম অনেকের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের গল্প সাজানো হলো, যে ব্যক্তি সারাদিন ধরে উপার্জন করে মাত্র ৮০ টাকা, সেই টাকা দিয়ে ভাত রুটি কেনাই যায় না, থাকে রেলের বস্তিতে, তাকে দেগে দেয়া হলো বিশাল সন্ত্রাসী হিসেবে। এভাবে ওই সরকারের আমলে অন্তত ১ হাজার কমিউনিস্ট খুন হলেন, আর পার পেয়ে গেলেন কোনরকম প্রতিবাদ ছাড়া।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মত মানবাধিকারের বয়ান নির্মাণকারী পিআর মিডিয়া হাউস তাদের সন্ত্রাসী চরমপন্থি লিখলো পুলিশের বরাতে অথচ সন্ত্রাসী ও চরমপন্থি শব্দ ব্যবহারের আগে কৌট আনকৌটও ব্যবহার করলো না। সাংবাদিকতার ন্যুনতম যে মানদণ্ড সেদিন সেগুলো স্রেফ উপদেয় খাদ্যর সাথে গুলিয়ে অদ্ভুত এক ককটেল তৈরি করা হলো। অনেকেতো বলে থাকেন, ক্রস ফায়ার শুরু হবার আগে এই দুটি হাউসের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা রীতিমতো বৈঠক করেছেন এটাকে মিডিয়াতে তারা কিভাবে আনবে। এভাবে চলতে থাকল। আর যে কমিউনিস্টরা খুন হচ্ছিল তারা মূলত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বহুকাল আগে থেকে সশস্ত্র সংগ্রাম করছিল যা শুরু হয় আরও ভয়াবহ আকারে ১৯৭১ সালের মধ্য দিয়ে, এই কমিউনিস্টরা নকশালপন্থি কেউ কেউ চীনপন্থি নামে পরিচিত থাকলেও তারা কেউ ভারতে যায়নি, দেশের ভেতর থেকেই সশস্ত্র সংগ্রাম করেছে।
ফলত, আওয়ামী লীগ বিরোধী হওয়ায় বিএনপি গঠিত হবার পর তারা শত্রুর শত্রু আমার মিত্র লাইন সরাসরি না নিলেও একটা ন্যাচারাল অ্যালাই হিসেবে দেখেছে বিএনপিকে। সেই বিএনপির হাতে যখন পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (এম এল) সাধারণ সম্পাদক মোফাখখার চৌধুরী যিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তিনি ক্রসফায়ারে খুন হলেন তখন সম্ভবত গোটা রাজনীতির পালাবদল বা শিফট যে হচেছ এটা নয়াকালের নকশালরা বুঝতে পারেন নাই।
আজকের আলাপ যদিও এটা না, কিন্তু এই বিশাল ইতিহাস ও ভূমিকাটা দরকার এই কারণে যে, যে নামেই মানুষ রাষ্ট্রের হাতে খুন হয়, বেসমারিক মানুষ গুলির তলে যায় তখন সেখানকার মানবাধিকার কর্মী, সংগঠন, সাংবাদিকরা চুপ করে বসে থাকতে পারে না। আমরা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, আমাদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে তখন এসবের প্রতিবাদ আমরা করেছিলাম। কিন্তু সেইসব প্রতিবাদে কখনোই দৃকের শহিদুল আলমকে আমরা দেখিনি ক্যামরো হাতে। ফলত দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে ক্যামেরা হাতে দেখে তাকে আমি সাধারণ একজন খেটে খাওয়া বা দিন মজুর আলোকচিত্রী হিসেবেই ভেবেছিলাম যার কাজটা আসলে আর দশটা কষ্টে সৃষ্টে জীবন লড়াই করা মানুষের মত, তিনি অন্তত বামপন্থী না। কারণ বামপন্থী হলেতো তাকে আমরা সমানে বামপন্থী নিমূর্লের সময় মাঠে দেখতাম, আমার চোখ ও পদচিহ্নের আকার ছোট হতে পারে কিন্তু একদম ছোট না; তাকে সেসময় দেখিনি।
ওনার স্ত্রী বা রানিংমেট রেহনুমা আহমেদকেও বামপন্থী রাজনীতি করতে দেখেনি কখনো, এখন ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়ন করেছিল কিনা জানা নেই। কারণ বাংলাদেশে এরকম পরিস্থিতিতে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো যে কেউ যে কোনো পরিস্থিতিতে লিবারেল সাজতে গিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন করার পরিচয় তুলে ধরে, অবশ্য সেটা কোন সময় পিকিংপন্থি ছাত্র ইউনিয়ন না, সেটা সব সময় মস্কোপন্থি ছাত্র ইউনিয়ন হয়ে থাকে।
এরকম একটা সময় শহিদুল আলম বা তার স্ত্রীকে বামপন্থীদের কোনোকিছুতে দেখেনি বা বাম বলয়ে তাদের ভূমিকা ছিল না। এরকম একটা ধারাবাহিক নিপীড়নে যেখানে বামপন্থীদের স্রেফ পাখির নিশানার মত মরছিল সেখানে শহিদুল আলম কোনো আর্ন্তজাতিক আলোকচিত্রে এসব এনেছেন কিনা আমাদের জানা নেই।
সেই শহিদুল আলম ও রেহনুমা ক্রমশ বাম বলয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখলাম। জাতীয় তেল গ্যাসের লংমার্চে তাদের পেলাম। তারপর তারা লীগ আমলে ক্রসফায়ার গুম খুন নিয়ে কথা বলা শুরু করল।
মাওবাদীদের কাছের লোক আমাদের প্রিয় মহেশ্বেতা দেবীও শহিদুলের সাথে দেখা করতে খোদ ঢাকায় চলে এলো, এলো আমাদের প্রিয় অরুন্ধতী রায়ও। তখন মনে মনে ভাবতাম, হয়তো ভারতের মাওবাদীদের সাথে গোপনে একটা যোগাযোগ রক্ষা করে চলে শহিদুল। সম্প্রতি ভারত থেকে মাওবাদীদের উচ্ছেদের জন্য গোটা উড়িষ্যা ঝাড়খন্ডে ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধ চালাচেছ মোদি সরকার। সেখানে মাওবাদী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশভা রাও ওরফে বাসভরাজ খুন হলো, গ্রামের পর গ্রাম থেকে আদিবাসীদের স্রেফ উজাড় করা হচ্ছিল তখন অবশ্য এ নিয়ে মহেশ্বেতার বন্ধু, অরুন্ধতী রায়ের বন্ধু শহিদুল আলমকে কিছু বলতে দেখিনি।
তবে এটা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে এবং এটা ঠিক যে মানবাধিকার বিষয়টি একদমই আদর্শভিত্তিক। যে ব্যক্তি কমিউনিস্টদের মানবাধিকারের কথা বলবে না, কিন্তু তিনি যদি ইসলামপন্থিদের মানবাধিকারের কথা বলেন তার সমালোচনা করার কিছু নেই। এই পয়েন্টে সমালোচনারও কিছু নেই। কারণ যার যার আর্দশের লোকের জন্যই দুনিয়াতে মানুষ কাদে। যদিও ইউনিভারসেল মানবাধিকারের ইস্যুতে আস্তিক নাস্তিক ভেদ নেই, ইসলামপন্থি বনাম কমিউনিস্ট এমন কিছু নেই; মানবাধিকারের ক্ষেত্রে প্রথম প্রযোজ্য ‘মানুষ’ বর্গটি। আর কিছু না।
যা হোক, আমি এসবের মধ্যে বামপন্থী শহিদুল হককে পেলাম না। পাওয়ার কোনো কারণ নেই। গত ১৬ বছর শহিদুল আলমরা বারবার বলেছেন দেশে ইসলাম ফোবিয়া আছে। মূলত সংখ্যাগুরু মুসলমানের দেশে ইসলাম ফোবিয়ার এই তত্ত্বটি মোদির মতই। ভারতে সংখ্যাগুরু হিন্দুর দেশে, সেই দেশে মোদি ও তাদের সেনাপতির বক্তব্য হলো হিন্দুরা বিপদে আছে মুসলমানদের জন্য। এরপর বুলডোজার দিয়ে মুসলমানদের দোকান ঘর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেয়া হচ্ছে। সেই বক্তব্যর উল্টো বয়ান বাংলাদেশে, সংখ্যাগুরু মুসলমানের দেশে নাকি হিন্দুরাই বড় শয়তান, তারাই দেশটা নস্ট করছে। তাহলে কি বুঝলেন সাধারণ?
এটাও মোদির বুলডোজার পলিটিক্সের বাংলাদেশী ভার্সন। এটা হলো বাইনারি রাজনীতি যেখানে ধর্ম প্রধান বিষয়। সাধারণ মানুষের যে চাকরি নেই, নতুন শিল্প কলকারখানা নেই, কৃষকের পেছনে বাঁশ এসব নিয়ে কিন্তু কোনো কথা নেই। তো এরকম ভারতে ধর্ম সমস্যা, আরও খারাপ অর্থনীতিতে থাকা বাংলাদেশেও বড় সমস্যা, ধর্ম ও তাদের প্রধান শত্রু হিন্দু। এই আলাপটাই আসলে সাম্রাজ্যবাদের ভাগ করো শাসন করো নীতি যেটা কলোনিয়াল যুগে শুরু হয়েছিল।
এতোদিন শহিদুল যাদের কলা দিয়ে, দুধ দিয়ে, ঘি মাখন খাইয়ে বড় করেছেন সেই ধর্মীয় মৌলবাদীরা নাকি এখন দেশ দখল করেছে, তারা নাকি ইউনূস সরকারের ঘাড়ে চেপে বসেছে।
এটা দেখে অনেকে কেদে ভাসাচ্ছেন। এটাইতো হবার কথা ছিল। এতোদিন ফার রাইটদের তেল পানি দিছে তারাতো বড় হবে। কিন্তু শহিদুলকে যারা বামপন্থী বলছেন আমার প্রশ্ন শহিদুল রেহনুমাকে কেমনে বামপন্থী হইলো? শহিদুল রেহনুমার বামপন্থা কি ইসলামী শরিয়া কায়েমের বামপন্থা? মজা নেন ভাই?
মজা নিতেই পারেন, আমরা গরিব কৃষকের পুত, আমাদের লগেইতো আপনারা অনাদি কাল থেকে মজা নিয়ে আসছেন। শহিদুল আলমের লগে পারবেন না, কারণ উনি কাজী আনোয়ারা মুনসুরের ছেলে, যিনি ঢাকার এলিট সমাজের নারী ছিলেন। ওনার বাপও এলিট ডাক্তার সেই পাকিস্তান আমল থেকে। ওনার মামা প্রখ্যাত মুসলিম লীগ নেতা ও খ্যাতনামা রাজাকার খান এ সবুর। ওনাদের লগে মজা নেবার সাহস আপনাদের নেই।
নাকি এটাও নতুন প্রজেক্ট! দেশে প্রচুর জঙ্গি আছে, এবার আমেরিকানদের আইতে হবে। এরকম নাতো! যাই হোক, দেশে এমন জঙ্গি নাই যে দেশটা আফগানিস্তান হবে, আবার এমন সেক্যুলারও নেই দেশটাতে এলজিবিটিদের বিয়ের আইন পাশ হবে। আমরা একদম সাধারণ গ্রামের কৃষক. কলের শ্রমিক, করপোরেটের কেরানি। আমাদের মধ্যে সব আছে, আমাদের সব দরকার কিন্তু আমেরিকান বা মার্কিন নেভি সিলের দরকার নেই।
আচ্ছা রেহনুমা আহমদে কই দাড়ায় ছবিটা তুলছেন? ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের আশেপাশে নাতো?
ছাত্র ইউনিয়নের মেঘমল্লার বসুদের অংশটা রেহনুমাকে তাদের সম্মেলনে অতিথি হিসেবে করে এনেছিলেন। আচ্ছা ওনাকে কেন অতিথি করতে হবে? রেহনুমাকে কি কখনো ছাত্র ইউনিয়নের কোন অংশের নেতৃত্ব দিয়েছিল? নাকি বামপন্থা নিয়ে তার লড়াই ইতিহাস হবার মত?
আশ্চর্য ছাত্র ইউনয়িন, আশ্চর্য বসুদের কমনসেন্স।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি