শুভ জন্মদিন, আলোর মানুষ! প্রাণের মানুষ!!

প্রকাশিত: ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২৫

শুভ জন্মদিন, আলোর মানুষ! প্রাণের মানুষ!!

Manual6 Ad Code

অমৃতা ইশরাত |

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রকে আমরা বলি এক নীরব অভ্যুত্থান। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের সবচেয়ে বিপ্লবাত্মক সৃষ্টি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আগে বাংলাদেশে পাঠাভ্যাস নিয়ে এমন নিবিড়, বিস্তৃত এবং অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন উদ্যোগ ছিল না।

“চৈতন্যের আলোকযাত্রা” স্লোগানটি সময়ের এক অনন্য উচ্চারণ, যা কেবল বইয়ের প্রতি ভালোবাসা নয়, মানবিক জাগরণকে কেন্দ্র করে। তিনি বিশ্বাস করেন, যে জাতি চিন্তা করে না, সে জাতি অনুভব করে না। আর অনুভবহীন জাতি কেবল চলমান, জীবন্ত নয়।
তিনি যখন কথা বলেন শব্দেরা প্রাণ ফিরে পায়। তাঁর কণ্ঠে কবিতা অন্যরকম শোনায়। মনে হয় শেক্সপিয়র, শেলী, বায়রন, কীটস্, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, ফ্রস্ট, রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ এক টেবিলে বসে আছেন। এতোটা জীবন্ত। বিশ্বসাহিত্যের কালোত্তীর্ণ চরিত্রগুলো তিনি উঠিয়ে নিয়ে আসেন। আমরা পুরাণ থেকে প্রবন্ধে পরিভ্রমণ করি। যেখানে প্রশ্ন আছে, কৌতূহল আছে, আছে ভাবনার স্বাধীনতা। স্যারের শিক্ষকতা এক ধরণের চমক—যা পাঠ্যক্রমের গণ্ডি ছাড়িয়ে আমাদের নিয়ে গেছে আত্ম-অন্বেষার পথে।

Manual1 Ad Code

স্যারের বইগুলোর নামও অসম্ভব সুন্দর। বিস্রস্ত জর্নাল, শৃঙ্খলিত প্রমিথিউস, সংগঠন ও বাঙালি, বহে জলবতী ধারা, কথোপকথন, প্রাণ থেকে প্রাণে, সুফলা ধরিত্রী, নিস্ফলা মাঠের কৃষক—নাম শুনলেই কেমন যেনো প্রাণ জুড়িয়ে যায়। আর তাঁর বইয়ের পাঠক মাত্রই জানেন এমন ছান্দিক গদ্যকার বাংলা সাহিত্যে খুব একটা নেই।
আজ তাঁর জন্মদিনে আমরা যদি একটু থেমে নিজের দিকে তাকাই, হাতে একটা বই তুলে নিই, যদি একটুখানি আলোর পথে এগিয়ে যাই—তবেই এ জন্মদিন হয়ে উঠবে সত্যিকারের উৎসব।

Manual1 Ad Code

শুভ জন্মদিন, আলোর মানুষ! প্রাণের মানুষ!!

Manual3 Ad Code

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code