গণমাধ্যমের সাথে প্রতিহিংসা পরায়ণতার ইতিহাস সুখকর নয়!

প্রকাশিত: ৯:২৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২৫

গণমাধ্যমের সাথে প্রতিহিংসা পরায়ণতার ইতিহাস সুখকর নয়!

Manual5 Ad Code

আনিসুল ইসলাম আশরাফী |

সাম্প্রতিক বিষয়ের সূত্র ধরেই আবারো বলছি, প্রকৃত গণমাধ্যম কর্মী কোন দল, গোষ্ঠী বা মতের নির্দিষ্ট এজেন্ট হতে পারে না। যদিও আভ্যন্তরীণভাবে একজন গণমাধ্যম কর্মী কোন মত, দল বা গোষ্ঠীকে অথবা তার পছন্দনীয় কোন কিছুকে ভালবাসে তবে ন্যায় ও সৃজনশীল দেশ ও সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সর্ব মহলই তার কাছে সমান অধিকার রাখে এবং সেও তার সীমানার সর্বত্রই বিচরণের যৌক্তিক দাবি রাখে।

প্রসঙ্গত বলতে গেলে কমবেশি ৩০ বছরের সাংবাদিকতায় কখনো সরাসরি কোন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা পাইনি যতটা এই কয়েক মাসে পেয়েছি।
এক সময় কিছু লোক রাজনৈতিক স্বার্থে অথবা অন্য কোন হিংসাত্মক চরিতার্থের স্বার্থে কোন কোন মহলে আমাকে এবং আমাদের সহকর্মীদের জামাত শিবিরের লোক হিসাবে ট্যাগ দেওয়া হতো আর বর্তমানে একই স্বার্থ চরিতার্থদের কারণে কেহ কেহ এর বিপরীতমুখী ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করে। সে কথা যদি ব্যাখ্যা করে বলতে যায় তাহলে অনেক লম্বা হিস্টোরির প্রয়োজন।
তবে একটি ছোট্ট কাহিনী না বললেই নয়, সরকারি দপ্তরে সরকার বিরোধী ভিন্ন মতাবলম্বী কর্মকর্তারা সরকারকে অতিরিক্ত তেল মর্দনের উপায় হিসেবে কখনো কখনো নিরপরাধী কোন মানুষকেও কোন না কোন অপরাধের সাথে সাজিয়ে একটি ট্যাগ লাগিয়ে জড়িয়ে দেয়। আবার কিছু ক্ষমতাসীল দের সাথে জড়িত দালাল প্রকৃতির দুর্বৃত্তরা অনেক সময় নিজেদের স্বার্থ হাসিলের স্বার্থে যদি কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে বা তার কাজে ভাগ বসাতে অথবা তার কাজে ব্যাঘাত ঘটবে বলে মনে করে ওই সময়ে কোন না কোন লোকের বিরুদ্ধে একটি প্রচারণা করে সে ওই গোষ্ঠী বা মহল বা কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছ থেকে নিজস্ব কোন স্বার্থ উদ্ধারের হীন আশায় আরো নিকটবর্তী হওয়ার অপচেষ্টায় বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করতো।
ফলে তৎকালীন ক্ষমতাসীল রাজনৈতিক ও তাদের আজ্ঞাবহ দোসররা তাদের একমাত্র পকেটে থাকা লোকদেরকেই মূল্যায়ন করত তবে এর মধ্যে কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল যা সময় সাপেক্ষ হয়তো বলা যাবে।

Manual7 Ad Code

ক্ষমতার পালাবদলে চাবি বদলালেও তালা কিন্তু বদলাইনি, ফলে এখনো কোন কোন লোক সাংবাদিকদেরকে নিয়ে ভিন্ন মত ভিন্ন কথা বলে বেড়াচ্ছে! আমি প্রথমেই বলেছিলাম সাংবাদিক কোন জাতি গোষ্ঠীর নয় এটি একটি বিবেক তাড়িত অধ্যায়ের পাতা মাত্র। যার নিজস্ব সক্রিয়তা স্বকীয়তাও আছে। যাকে সবাই পড়তে পারে আবার সবাই দেখতেও পারে তবে জ্বালিয়ে দিতে পারে না।

দালাল যুগে যুগে ছিল আছে থাকবে তবে দালালের দালালিপনা যদি বেড়ে যায় তাহলে সমাজের জন্য খুবই ক্ষতির কারণ হতে পারে।

আমি এ কথা বলবো না যে সব সাংবাদিক আমরা সঠিক পথে চলি তবে একথাও সত্য কিছু সাংবাদিক রয়েছে যাদের সংবাদপ্রকাশের ক্ষেত্রে এতটাই নৈতিকতা অবলম্বন করে যে ইচ্ছা করলেই তাকে কোন পরিমাণ দিয়ে ক্রয় করা সম্ভব নয়। তাহলে এই প্লাস মাইনাস এর মধ্যে আমাদেরকে চলতে হয় বা চলতে হচ্ছে।

Manual1 Ad Code

সর্বোপরি পূর্বে যেমন দালাল ছিল রাজনীতিতে সংবাদপত্রে সকল ক্ষেত্রে
আজ ও এর ব্যাতিক্রম চোখে পড়েনি বরং অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে প্রশাসনিক সেক্টর থেকে অধিকাংশ সেক্টর যেন কারো কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। গ্রামের একটি প্রবাদ আছে পাগল নাও ডুবাবে নাকি? পাগল বলছে আমি তো বাথায় খাড়া! অর্থাৎ সে তো নৌকা ডুবিয়ে দিতেই প্রস্তুত। একে তো দুর্বৃত্ত এবং দুর্নীতিবাজরা নীতিবানদের কাছ থেকে দূরে থাকে অপরদিকে কিছুটা ভয়ভীতি এবং উস্কানির কারণে সকল সাংবাদিকের সাথে সমতা রক্ষা করতে পারছে না বা করেন না।

এই সংকট মুহূর্তে একাত্তরের দাবিদার বা ২৪ এর দাবিদার কারো পক্ষে উচিত নয় যে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে দুশমন হিসাবে চিহ্নিত করা, আমি কিন্তু ওদের কথা বলছি না যারা গণমাধ্যমের ছত্রচ্ছায়ায় অপকর্মে লিপ্ত।

সম্প্রতি মৌলভীবাজার জেলা শহর সহ শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদেরকে নিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রদের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে তা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত সকল স্তরের অচেতন দেশ প্রেমিকের। এ দেশ আমার আপনার সবার। প্রতিহিংসা পরায়ণ কোন সংস্কৃতি কোন যুগ বা কালেও মঙ্গল বয়ে আনে না আর ভবিষ্যতে আনবেও না।

Manual8 Ad Code

বাংলাদেশের ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থা ও সামাজিক ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক রীতিনীতি অনুযায়ী এদেশে একজন আরেকজনের সাথে নানা সম্পর্কে সম্পর্কিত সুতরাং এখানে কেবলমাত্র প্রকৃত দুর্বৃত্ত ও গণ মানুষের শত্রু ছাড়া একে অপরের সাথে প্রতিহিংসা পরায়ণ হবার কথা নয়।

যতক্ষণ পর্যন্ত কোন লোক বা সংস্থা কোন গণমাধ্যম কর্মীর এলোপাতাড়ি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম হচ্ছেনা ততক্ষণ পর্যন্ত তার মধ্যে স্বচ্ছতার অভাব থেকেই যাবে।

এবার আসি মূল কথায়, সাংবাদিকতার সাথে অর্থাৎ গণমাধ্যমের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে কেহ সুখী হতে পারেনি; আজও নয় এবং অতীতেও ন। সুতরাং যাদের সেই অভিজ্ঞতা নেই তাদেরকে বলব আপনারা আপনাদের আবেগের ভাবনাকে লাগাম দেন। সব ভাবনা সব সময় কাজে আসে না, কখনো কখনো নিজেদের জন্য তা ভয়াবহ অভিশাপ ডেকে আনতে পারে। এজন্যই বলব সকল ক্ষেত্রেই ধৈর্য্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের বন্ধু এবং মুক্তির সরল পথ।

#
আনিসুল ইসলাম আশরাফী
সভাপতি
শ্রীমঙ্গল অনলাইন প্রেসক্লাব
৩০ জুলাই ২০২৫ ইং বুধবার।

Manual5 Ad Code

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code