১৩৭ বছর আগের পাঠশালার পাঠ্যবই : বাঙালির প্রাচীন শিক্ষাক্রমের এক জীবন্ত দলিল

প্রকাশিত: ১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

১৩৭ বছর আগের পাঠশালার পাঠ্যবই : বাঙালির প্রাচীন শিক্ষাক্রমের এক জীবন্ত দলিল

Manual1 Ad Code

সংগ্রহশালা বিষয়ক প্রতিবেদক | ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ : ১৩৭ বছর আগের একটি স্কুলপাঠ্য বই—যা একসময় প্রাচীন পাঠশালার শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চার প্রধান মাধ্যম ছিল—সম্প্রতি সংগ্রহশালার গবেষকদের নজরে এসেছে। ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত এই দুর্লভ গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে আমাদের জাতির শিক্ষাঐতিহ্যের এক অনন্য ও দুষ্প্রাপ্য মাস্টারপিস।

Manual3 Ad Code

বইটির নাম “HISTORY OF INDIA”, বাংলায় “ভারতের ইতিহাস”—রচয়িতা শ্রী রজনীকান্ত। ব্রিটিশ শাসনামলের প্রেক্ষাপটে রচিত এই পাঠ্যবইটি তৎকালীন বাঙালি সমাজে ইতিহাস শিক্ষার ধারা, পাঠ্যসূচি এবং শিক্ষাব্যবস্থার চরিত্র অনুধাবনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বহন করে।
গবেষকদের মতে, এই বইটি কেবল একটি পাঠ্যগ্রন্থ নয়; বরং এটি বাঙালি জাতির প্রাচীন শিক্ষাক্রমের একটি জীবন্ত দলিল। বইয়ের ভাষা, অধ্যায় বিন্যাস, তথ্য উপস্থাপনার ধরন এবং ঐতিহাসিক ব্যাখ্যার ভঙ্গি থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, কীভাবে ঔপনিবেশিক সময়েও ভারতবর্ষের ইতিহাস পাঠ্যক্রমে স্থান পেত এবং কীভাবে শিক্ষার্থীদের জাতীয় ও ঐতিহাসিক চেতনা গড়ে তোলার প্রয়াস ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আজকের আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে তুলনা করলে এই গ্রন্থের মাধ্যমে তৎকালীন পাঠশালাভিত্তিক শিক্ষা, নৈতিকতা ও ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি সুস্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায়। একই সঙ্গে এটি বাংলা অঞ্চলে ইতিহাসচর্চার প্রাথমিক বিকাশের সাক্ষ্য বহন করে।
সংগ্রহশালা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বইটি সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের পূর্বপুরুষদের শিক্ষাজগত ও বৌদ্ধিক ঐতিহ্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারে।
ইতিহাসবিদদের মতে, এ ধরনের দুর্লভ পাঠ্যবই উদ্ধার ও সংরক্ষণ করা জাতীয় দায়িত্ব। কারণ এগুলো শুধু অতীতের স্মারক নয়, বরং আমাদের সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত পরিচয়ের ভিত্তি।

Manual6 Ad Code

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ