করোনার জীবন রহস্য উন্মোচন করলেন বাংলাদেশের তরুণী গবেষক সেঁজুতি সাহা ও তাঁর সঙ্গীরা

প্রকাশিত: ১২:০৩ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০২০

করোনার জীবন রহস্য উন্মোচন করলেন বাংলাদেশের তরুণী গবেষক সেঁজুতি সাহা ও তাঁর সঙ্গীরা

Manual2 Ad Code

ঢাকা, ১৩ মে ২০২০: অসাধ্যসাধন করলেন বাংলাদেশের তরুণী গবেষক সেঁজুতি সাহা ও তাঁর সঙ্গীরা। চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অণুজীববিজ্ঞানীর হাত ধরেই দেশে প্রথমবারের জন্য প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স (জীবনরহস্য) উন্মোচিত হল। ফলে চিন বা ইউরোপের সাথে এ দেশের ভাইরাসের চরিত্রগত কোনও পরিবর্তন হয়েছে কিনা? মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় কি ধরনের ভ্যাকসিন বা ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে, তা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। গত চারদিন ধরেই করোনার জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনের কাজ চলছিল। মঙ্গলবার তা শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যেই মারণ ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনের জন্য প্রশংসার বন্যায় ভাসছেন সেঁজুতি ও তাঁর ৭ সহযোগী গবেষক।

Manual7 Ad Code

গত ৮ মার্চ দেশে থাবা বসিয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। সময় যত গড়াচ্ছে ততই ভয়াবহ হয়ে উঠছে মারণ ভাইরাস। ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ২৫০ জন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১৬ হাজারের বেশি। করোনার বেলাগাম সংক্রমণ ক্রমশই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। করোনাভাইরাস নিয়ে যখন গোটা দেশ নাজেহাল, তখনই মারণ ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সের কাজে তেড়েফুঁড়ে নামেন চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের তরুণী গবেষক সেঁজুতি সাহা ও তাঁর সহকারীরা। ভাইরাস কতটুকু শক্তিশালী, তার সংক্রমণ ক্ষমতা কতটুকু জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে তার ধারণা পাওয়া যায়। পাশাপাশি ভাইরাসটি কোনও ভৌগলিক পরিবেশে নতুন কোনও বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছে কিনা সে সম্পর্কেও জানা যায়।

Manual4 Ad Code

মঙ্গলবার রাতে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সমীর কুমার সাহা জানিয়েছেন, ‘ কোয়েন্সিংয়ের সম্পূর্ণ কাজটি চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ঢাকার গবেষণাগারে সম্পন্ন হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত গ্লোবাল ডাটাবেস জিআইএসএআইডিএ’তে জমা দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই তা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সাধারণত ভাইরাসের সিকোয়েন্সিং করা কিছুটা দুঃসাধ্য, সেখানে নোভেল করোনাভাইরাসের মতো একটি ভাইরাসকে সিকোয়েন্সিং করা খুবই কঠিন ছিল। চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন ভাইরাসটিকে নিষ্ক্রিয় করে মেটাজিনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজটি সম্পন্ন করেছে। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতর, আইইডিসিআর, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের জুকারবার্গ ইনিশিয়েটিভের সহযোগিতায় করোনার জিনোম সিকোয়েন্সের মতো অসাধ্যসাধন করা সম্ভব হয়েছে।’

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code