দেশের সব নদ-নদীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত: ২:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২১

দেশের সব নদ-নদীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

Manual7 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ২১ নভেম্বর ২০২১ : দেশের সব নদ–নদীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি, বেআইনি দখল থেকে নদ–নদী রক্ষা এবং যথাযথভাবে সীমানা নির্ধারণে সময় ও প্রক্রিয়া বর্ণনা করে কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও তা ছয় মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সাথে আগামী বছরের ৫ জুন পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য রাখা হয়েছে।

রোববার এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

Manual2 Ad Code

রুলে দেশের সব নদ–নদী চিহ্নিত ও বেআইনি দখল থেকে রক্ষা করতে এবং তুরাগ নদীর সীমানাখুঁটি ঠিকভাবে স্থাপনে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

Manual5 Ad Code

ভূমি সচিব, পানিসম্পদ সচিব, পরিবেশ সচিব, নৌপরিবহন সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, অর্থসচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ও পরিবেশ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালকসহ ১৯ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে হবে।

Manual5 Ad Code

এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) আদালতে রিটটি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এই বিষয়ে জানান, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছে, দেশে ৪০৫টি নদী আছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বলছে, ৭৭০টি নদী আছে। একজন গবেষকের গবেষণায় দেশে ১ হাজার ১৮২টি নদী আছে বলে এসেছে। নদীর সংখ্যা সঠিক না হওয়ায় দখলদারদেরও সঠিকভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব কারণে নদ–নদী দখলমুক্ত করে সামগ্রিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয় বলে জানান তিনি।

Manual7 Ad Code

তিনি আরও বলেন, দেশের সব নদ–নদীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে তা দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ৫৬ হাজার দখলদারের তালিকা তৈরি করেছে। এর বাইরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় অনেক ব্যক্তি–প্রতিষ্ঠানেরও নাম আসছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে প্রত্যেক বিভাগওয়ারি নদ–নদী দখলমুক্ত করতে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে তা ছয় মাসের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে। ইতিপূর্বে রিটের নির্দেশনা ও গবেষণা প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে তুরাগ নদীর সীমানাখুঁটি সংশোধন করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code