চীনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন

প্রকাশিত: ৩:০৮ পূর্বাহ্ণ, জুন ২২, ২০২০

চীনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন

Manual7 Ad Code

বেইজিং (চীন), ২২ জুন ২০২০ : চীন বলেছে, দেশটি ডোজ নির্ধারণ এবং এর কার্যকারিতা ও সুরক্ষার জন্য আরও মূল্যায়ন করার লক্ষ্যে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপ শুরু করেছে।

Manual1 Ad Code

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, ‘চাইনিজ একাডেমি অব মেডিক্যাল সায়েন্স’এর ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল বায়োলজি’ সম্ভাব্য কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপ শুরু করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষের মধ্যে টীকার ইমিউনোজেনিসিটি এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে আরো মূল্যায়নের জন্য ইউনানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল-২ করা হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপের এই ট্রায়ালে মানব শরীরে ভ্যাকসিনটির নিরাপত্তা ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
চীনে মোট পাঁচটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি বিশ্বে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেয়া মোট ভ্যাকসিনের ৪০ শতাংশ।
চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে এ কথা জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি মে মাসে প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হলে ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী প্রায় ২শ’জন স্বেচ্ছাসেবক পশ্চিম সিচুয়ান প্রদেশের একটি হাসপাতালে এই টীকা গ্রহণ করে।
চীনের প্রতিষ্ঠান সিনোভেক বায়োটেক লিমিটেড বলেছে, তারা আশা করছে, নভেম্বরের আগে তাদের সম্ভাব্য কোভিড-১৯ টীকার শেষ পর্যায় সম্পন্ন হবে।
বিশ্বব্যাপী প্রায় এক ডজন টীকা মানবদেহে পরীক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে, অন্যদিকে চীনা গবেষকরা তাদের পশ্চিমা সহযোগী এবং ওষুধ প্রস্তুতকারীদের পাশাপাশি অগ্রগামী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
তবে, বড় দাগে কোন টীকা ট্রায়ালে পার হতে পারেনি এবং সর্বশেষ তৃতীয় পর্ব যেটা অনুমোদনের জন্য খুবই জরুরি সেইপর্বে পাশ করতে পারেনি।
তবে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এবং বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই জরুরি অবস্থায় কোনও সরকারী অনুমোদনের আগে সম্ভাব্য টীকাগুলোর জন্য অন্তবর্তীকালীন ছাড়পত্র দেওয়া যেতে পারে।
সিনহুয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা প্রতিষ্ঠান আইএমবিসিএএমএস-এর টীকা গবেষণায় সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা এবং প্রচন্ড সক্ষমতা রয়েছে, কারণ প্রতিষ্ঠানটি এর আগে পোলিওর বিরুদ্ধে সরাসরি সক্রিয় টীকা এবং নিষ্ক্রিয় টীকা তৈরি করেছে, যা লক্ষ লক্ষ চীনা শিশুকে প্রতিবন্ধী হওয়া থেকে রক্ষা করেছে।
এদিকে, আইএমবিসিএএএস, এর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চ্যানেলে বলেছে, তারা আশা করছে, চীনের ভবিষ্যৎ টীকা সরবরাহ প্রস্তুতির জন্য ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুমিং-এ চলতি বছরই করোনা ভাইরাস টীকা উৎপাদনে নির্ধারিত একটি প্ল্যান্ট ব্যবহার করা শুরু করবে।

Manual6 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code