নতুন না পেলে পুরোনো বই-ই রিভাইস করেছি অসংখ্যবার

প্রকাশিত: ১২:৪০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২৫

নতুন না পেলে পুরোনো বই-ই রিভাইস করেছি অসংখ্যবার

খাতুনে জান্নাত আশা | ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ : খুব ছোটবেলা থেকেই বইয়ের সাথে নিবিড় সম্পর্ক আমাদের দু’বোনের। আমাদের বিনোদনের একমাত্র উৎসই ছিল এই বই। যতক্ষন হাতে বই থাকত ঠিক ততক্ষনই আমরা ভালো থাকতে পারতাম, দুনিয়ার সব কিছু ভুলে যেতাম। নতুন বই না পেলে পুরোনো বই-ই রিভাইস করেছি অসংখ্যবার, রাতের পর রাত জেগেছি বইয়ের নেশায়। বইয়ের চোখ দিয়ে বিশ্বকে দেখেছি আমরা, আর বুনেছি মনে হাজারো স্বপ্ন। আমাদের কালেকশনের বইয়ের সংখ্যাও নেহাত কম নয়, তবে স্বপ্ন দেখি একদিন বিশাল একটা লাইব্রেরি হবে আমার। বুকশেলফের সামনে দাঁড়ালে আলাদা একটা প্রশান্তি কাজ করে মনে। 😊

আব্বু আম্মুকে কাছে না পাওয়ায় খুব একাকীত্ব আর হতাশার সাথে বাস করতাম একটা সময়, আর তখন এই বই-ই আমাদের ভালো রাখত।

আমাদের দু’বোনকে আম্মু আব্বুর সবসময় চোখে চোখে রাখতে হয়নি, স্কুল কলেজে নিয়ে যেতে আসতে হয়নি। আমাদের পথচলা ছিল সম্পূর্ণ একার। তারপরও নিজেদের ভালোমন্দ নিজেরাই বুঝে চলতে পেরেছি, আমাদের একাডেমিক রেজাল্টও খুব খারাপ বলা যাবে না। আমি অনেকটা ফাঁকিবাজ হলেও, আমার ছোটবোন ছোট থেকে এখন পর্যন্ত নিজের সেরা জায়গাটা একাডেমিক লাইফে ধরে রেখেছে, প্রত্যেকটা পাবলিক পরীক্ষায় স্কলারশীপ পেয়ে পার হয়েছে। সে ঢাকা ইউনিভার্সিটির EEE (Electric & Electronics Engineering) ডিপার্টমেন্টের একজন শিক্ষার্থী।

সবমিলিয়ে একাডেমিক বইয়ের বাইরের বইগুলো যে, মানুষের সময় নষ্ট করে না, বরং জীবনকে সুন্দর করে পরিচালিত করতে সাহায্য করে তার প্রমান আমরা অনেকটাই রাখতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ। 😊
সুশিক্ষাটা আসলে বই থেকেই পাওয়া যায়, তাই বাচ্চাদের হাতে ডিভাইসের পরবর্তে বই তুলে দেয়া উচিত। বিশ্ব বই দিবসের শুভেচ্ছা সবাইকে।😊

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ