সিলেট ২৫শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২৫
বিশেষ প্রতিবেদক, আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ঢাকা, ২৩ জুন ২০২৫ : শনিবার (২১ জুন) ভোররাতের সময়টুকু গড়াতে গড়াতে সোজা ইতিহাসে ঢুকে গেল। যুক্তরাষ্ট্র উপসাগরীয় যুদ্ধে জড়াবে কি না সেটা খোলাসা করতে স্বঘোষিত ‘শান্তির দূত’ ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘দুই সপ্তাহ’ সময় নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ‘দুই সপ্তাহ’ যে মাত্র ‘দুই দিন’-এর সমান, এটা এই গ্রহবাসী এরই মধ্যে জেনে গেছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, ট্রাম্প যেদিন ‘দুই সপ্তাহের’ সময় চেয়ে নিয়েছিলেন, সেদিনই যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমানগুলো দেশটির মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের ঘাঁটি থেকে উড়াল দিয়ে ফেলেছে এবং টানা প্রায় ৩৮ ঘণ্টা উড়ে গিয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
উল্লেখ্য, মার্কিন বিমানবাহিনী এই প্রথম কোনো যুদ্ধক্ষেত্রে ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বাংকারবিধ্বংসী বোমা জিবিইউ-৫৭ ব্যবহার করল।
হামলার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। গতকাল রবিবার (২২ জুন) দেশটির পার্লামেন্টে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।
ইরানের প্রেস টিভি জানিয়েছে, হরমুজ প্রণালি বন্ধের বিষয়ে ইরানের পার্লামেন্ট প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে।
বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের প্রায় ২০ শতাংশ এই প্রণালি দিয়েই পরিবহন করা হয়। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ বন্ধের সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত নয়।
পার্লামেন্ট সদস্য ও ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) কমান্ডার এসমাইল কোসারি ইয়াং জার্নালিস্ট ক্লাবকে বলেন, বিষয়টি এখন আলোচ্যসূচিতে রয়েছে এবং ‘প্রয়োজন হলেই কার্যকর করা হবে’।
ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা হলো ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান। ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামের এই হামলার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী সরাসরি ইরান যুদ্ধে জড়াল। হামলার পর হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইরান কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় না ফিরলে আরো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ সমন্বয় করে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি তাঁদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং বিশ্বশান্তিকে বিপন্ন করেছে। ‘অভিযান শেষ হওয়ার পরপরই ট্রাম্প তাঁকে ফোন করেছিলেন,’ বলেন নেতানিয়াহু।
এদিকে মার্কিন হামলাকে ‘নির্লজ্জ’ বর্ণনা করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, ইরান তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব বিকল্প খোলা রাখছে। তিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, ‘আজকের সকালের ঘটনা চরমভাবে নিন্দনীয় এবং এর দীর্ঘস্থায়ী পরিণতি থাকবে। জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রেরই অত্যন্ত বিপজ্জনক, আইনবহির্ভূত ও অপরাধমূলক এই আচরণ নিয়ে সোচ্চার হওয়া উচিত।’
মার্কিন হামলার পর কূটনৈতিক আলোচনার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আরাগচি বলেন, ‘কূটনীতির দরজা সব সময় খোলা থাকা উচিত, কিন্তু এই মুহূর্তে তা নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার দেশ হামলার শিকার হয়েছে, আগ্রাসনের শিকার হয়েছে এবং আত্মরক্ষার বৈধ অধিকারের ভিত্তিতে আমাদের এর জবাব দিতে হবে।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ‘আন্তর্জাতিক আইনের অমার্জনীয় লঙ্ঘন।’
এ ছাড়া ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির একজন ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ও কট্টরপন্থী কেহান পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হোসেইন শরিয়তমাদারি যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর আহবান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ারও দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘এক মুহূর্ত দেরি না করে, প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আমাদের উচিত বাহরাইনে অবস্থিত আমেরিকান নৌবহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো এবং একই সঙ্গে হরমুজ প্রণালিতে আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি ও ফ্রান্সের জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া।’ অন্যদিকে ইরানের অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) ঘোষণা করেছে, ‘যুদ্ধ এখনই শুরু।’ বাহিনীটি জানিয়েছে, এই হামলা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলা সংঘাতকে আরো উসকে দিয়েছে, যা এখন কেবল সংঘর্ষ নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যে পুরোপুরি একটি যুদ্ধের রূপ নিয়েছে। এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি গতকাল রাশিয়া রওনা দিয়েছেন। আজ সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা রয়েছে।
ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) সদস্য রাষ্ট্র। তাদের এই কর্মসূচি সব সময় নজরদারির মধ্যেই থাকে। তবু সম্ভাব্য পারমাণবিক সক্ষমতার অভিযোগেই ইরানের ওপর বিধ্বংসী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিপরীতে এনপিটিতে সই না করা ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রে শক্তিধর দেশ। তারা কখনোই আইএইএকে তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পরিদর্শনের অনুমতি দেয়নি।
২২ বছর আগে ইরাক আক্রমণের আগে দেশটির হাতে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার ধারণা এবং সেই অস্ত্র মানব অস্তিত্বের জন্য হুমকি হতে পারে—এমন বয়ান তৈরি করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের পক্ষ থেকে। এবারও একেবারেই বিনা উসকানিতে ইরান আক্রমণের পর ‘একই অজুহাতে’ ইসরায়েলের ‘দোসর’ হয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এ সংঘাতে জড়িয়েছে।
ইসরায়েল-ইরান চলমান সংঘাতের দশম দিনে অন্তত এ কথা বলা যায়, আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক ও সামরিক দিকগুলো বিবেচনায় নিলে ইরানকে নিশ্চয় ‘ইরাক’ বলা যাবে না। তাই প্রশ্ন উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্র একই অজুহাতে ইরানকে ধ্বংস করে ‘ইরাক’ বানানোর পথে কত দূর হাঁটবে?
ট্রাম্পের ভাষণ :
গতকাল জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, শান্তি না এলে ইরানের জন্য বড় ট্র্যাজেডি অপেক্ষা করছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের হাতে এখনো অনেক লক্ষ্যবস্তু বাকি রয়েছে।
ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘এই অবস্থা আর চলতে পারে না। হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানের জন্য এমন এক ট্র্যাজেডি নেমে আসবে যা গত আট দিনে দেখা ঘটনাগুলোর চেয়েও ভয়াবহ হবে। মনে রাখবেন, আমাদের সামনে এখনো অনেক লক্ষ্যবস্তু রয়েছে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা যে হামলা চালিয়েছি, তা ছিল সবচেয়ে কঠিন এবং সম্ভবত সবচেয়ে প্রাণঘাতী। কিন্তু যদি দ্রুত শান্তি না আসে, তাহলে আমরা অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করব—নিখুঁতভাবে, দ্রুতগতিতে ও দক্ষতার সঙ্গে। এদের অনেককেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই ধ্বংস করা সম্ভব।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিশ্বে আর কোনো সামরিক বাহিনী নেই যারা এমন অভিযান চালাতে পারত, যেমনটি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর চালিয়েছে।’
চীনের দারস্থ যুক্তরাষ্ট্র :
এদিকে তেল পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ হরমুজ প্রণালি খোলা রাখতে ইরানকে চাপ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ইরান যদি প্রণালিটি বন্ধ করে তাহলে চীন সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ছাড়া অন্যান্য দেশের ওপরও এর প্রভাব পড়বে।
গতকাল রুবিও বলেন, ‘ইরান যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে তাহলে সবার আগে চীন সরকারের ক্ষুব্ধ হওয়া উচিত। কারণ তাদের অনেক তেল এখান দিয়ে আসে। যদি ইরান হরমুজ প্রণালিতে মাইন স্থাপন করে, তাহলে চীনকে চড়া মূল্য দিতে হবে এবং অন্যান্য দেশকেও মূল্য দিতে হবে। আমাদেরও দিতে হবে। প্রণালি বন্ধ হলে কিছু প্রভাব আমাদের ওপর পড়বে। পুরো বিশ্বের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। ইরান যদি এ কাজ করে তাহলে এটি তাদের জন্য বাণিজ্যিক আত্মহত্যা হবে।’
শুধু ফোরদোতেই ১২ ‘বাংকার বাস্টার’ ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র :
ইরানের যে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমানগুলো হামলা চালিয়েছে, তার একটি ফোরদো। সেখানে ছয়টি বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান উড়ে গিয়ে মোট ১২টি ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা ফেলেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, যে তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার কথা যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আদতে সেখানে তেজস্ক্রিয়তা সৃষ্টি করার মতো কোনো পদার্থ নেই।
ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস হয়নি :
ইরানের ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংসের যে দাবি ট্রাম্প করেছেন, এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রাথমিক মূল্যায়নের মিল পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ধারণা, ফোরদোর অত্যন্ত সুরক্ষিত পারমাণবিক স্থাপনাটি মার্কিন হামলায় গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি। এই হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্তত দুজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, মনে হচ্ছে ইরান হামলার আগেই ওই স্থান থেকে ইউরেনিয়ামসহ কিছু যন্ত্রপাতি সরিয়ে নিয়েছে।
মার্কিন এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও একই ধরনের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন হামলায় ফোরদোর অত্যন্ত সুরক্ষিত স্থাপনাটি ধ্বংস হয়নি। তবে স্থাপনাটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অচল হয়ে পড়েছে।
চতুর্থ প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান :
ইসরায়েলের ওপর সাম্প্রতিক হামলায় ইরান খায়বার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে দাবি করেছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ডের জারি করা এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতে প্রথমবারের মতো ‘খায়বার’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা জানানো হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এটি খোররামশাহর-৪ নামে পরিচিত। এটি দেশীয়ভাবে উৎপন্ন খোররামশাহর ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজের ফোর্থ জেনারেশন। ২০০০ কিলোমিটার পাল্লার খায়বার ক্ষেপণাস্ত্র দেড় হাজার কেজি ওজনের ওয়ারহেড বহনে সক্ষম, যা ইরানের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভারী ওয়ারহেডগুলোর একটি। তরল জ্বালানিচালিত এই ক্ষেপণাস্ত্রকে উড়ন্ত অবস্থায়ই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
তেল আবিব ও হাইফায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি :
ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলজুড়ে বেশ কিছু লক্ষ্যবস্তুকে উদ্দেশ করে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে দেশটি। ইরানের এই হামলার মধ্যে জেরুজালেমে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে দুই দফায় মোট ২৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। প্রথম দফায় ২২টি এবং দ্বিতীয় দফায় পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
হামলার লক্ষ্যবস্তুও ছিল বেশ বিস্তৃত। সিরিয়ার দখলীকৃত গোলান হাইটস অঞ্চল থেকে শুরু করে আপার গ্যালিলি, আবার উত্তর ও মধ্য উপকূলীয় এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত অংশে হামলা চালানো হয়।
আইএইএর তদন্ত চায় ইরান :
পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থাকে (আইএইএ) তদন্ত করার আহবান জানিয়েছে ইরান। এসএনএন নিউজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, আইএইএর প্রধান রাফায়েল গ্রোসিকে চিঠি লিখেছেন ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রধান মোহাম্মদ এসলামি। চিঠিতে তিনি শনিবার ভোররাতে মার্কিন হামলার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি রাফায়েল গ্রোসির ‘নিষ্ক্রিয়তা এবং দুষ্কর্মে সহায়তার’ জন্য সমালোচনা করে বলেন, ইরানের পক্ষ থেকে ‘যথাযথ আইনি ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে। এদিকে ইরানে মার্কিন হামলার পর আজ জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ। ইরানে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের বেশির ভাগ স্থান এড়িয়ে চলছে বিমানগুলো :
মধ্যপ্রাচ্যের বেশির ভাগ স্থান এড়িয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসগুলো। বিশেষত ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর গতকাল এই প্রবণতা আরো প্রকট হওয়ার কথা জানিয়েছে ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইট-রাডার টোয়েন্টিফোর।
সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, এপি, এএফপি
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D