সাম্য ও সমতার বাংলাদেশ: জনগণের অংশগ্রহণে টেকসই উন্নয়ন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে সিপিডি

প্রকাশিত: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২৫

সাম্য ও সমতার বাংলাদেশ: জনগণের অংশগ্রহণে টেকসই উন্নয়ন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ২৯ জুন ২০২৫ : সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) “সাম্য ও সমতার বাংলাদেশ: জনগণের অংশগ্রহণে টেকসই উন্নয়ন” শিরোনামে একটি কার্যক্রম শুরু করেছে।

নাগরিকতা: সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (CEF)-এর আওতায় এই কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে সুইজারল্যান্ড ও কানাডা সরকার এবং নাগরিকতা: সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (CEF) এর সার্বিক তত্ত্বাবধায়নের দায়িত্বে রয়েছে GFA Consulting Group।

এই কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হলো নাগরিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন প্রচেষ্টা সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া।

এই কার্যক্রমে চার ধরণের কাজ করা হবে-

১। স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে একটি নাগরিক দল গঠন এবং সামাজিক নিরীক্ষার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করা;
২। এসডিজি অভীষ্ট ৫ ও ১৬ ভিত্তিক গবেষণা পরিচালনা এবং নীতিনির্ধারকদের সাথে সংলাপের মাধ্যমে তৃণমূল জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষা এবং গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা;
৩। বিভিন্ন কর্মসূচিতে যুবদের যুক্ত করার মধ্যে দিয়ে তাদের মধ্যে এসডিজি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা;
৪। তৃণমূলের জনগণ, নীতিনির্ধারক, সরকারি কর্মকর্তা, জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নাগরিক প্রতিনিধি, গবেষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে একটি জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে নীতি-নির্ধারণী সুপারিশগুলো তুলে ধরা।

এই কার্যক্রমটি মোট ৪টি জেলার ১৬টি উপজেলায় পরিচালিত হচ্ছে। সেগুলো হলো-
বগুড়া জেলার চারটি উপজেলা – গাবতলী, সারিয়াকান্দি, শিবগঞ্জ ও শাজাহানপুর।
শেরপুর জেলার চারটি উপজেলা – ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও নকলা।
সুনামগঞ্জ জেলার চারটি উপজেলা – তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর ও দোয়ারাবাজার।
নোয়াখালী জেলার চারটি উপজেলা – নোয়াখালী সদর, সুবর্ণচর, বেগমগঞ্জ ও সোনাইমুড়ী।

এই চারটি জেলায় চারটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিপিডি’র সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে:

• ERA-Efforts for Rural Advancement
• Gram Unnayan Karma – GUK
• Indigenous Peoples Development Services-IPDS
• PRAAN l Participatory Research & Action Network

এই চারটি জেলায় মোট ৩২০ জন নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং তাদেরকে প্রশিক্ষিত করা হবে যেন তারা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তাদের জন্য সরকার কতৃক বরাদ্দকৃত বিভিন্ন সেবা ঠিকমতো পায়। পাশাপাশি, স্থানীয় প্রশাসন, সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও, নাগরিক সংগঠন ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে কাজ করে সরকারি সেবা, লিঙ্গ সমতা এবং সুশাসন বিষয়ক বিভিন্ন কাজে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ