নখ-দন্তহীন মানবাধিকার কমিশন উপহার দেওয়া হয়েছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

প্রকাশিত: ৪:১১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫

নখ-দন্তহীন মানবাধিকার কমিশন উপহার দেওয়া হয়েছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

Manual3 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নখ-দন্তহীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানোর অভিযোগ তুলেছেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, ‘‘যে কমিশনের দাঁত নেই, কামড় নেই, দক্ষতা নেই এবং কার্যকারিতা নেই—এমন একটি প্রতিষ্ঠান নাগরিক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবির মুখে উপহার দেওয়া হয়েছে।’’

Manual2 Ad Code

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের একটি হোটেলে আয়োজিত নাগরিক সংলাপে খসড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫-এর ওপর সূচনা বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

Manual5 Ad Code

‘মেরুদণ্ডহীন ভালো মানুষ দরকার নেই’

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, একটি দুর্বল মানবাধিকার কমিশনের নেতৃত্বে যদি আবার মেরুদণ্ডহীন ‘ভালো মানুষ’কে বসানো হয়, তবে কমিশন কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে না। তাঁর ভাষায়, ‘‘মেরুদণ্ডহীন ভালো মানুষ কখনও অন্য কারও জন্য মেরুদণ্ড সোজা করতে পারে না। সে জন্য মেরুদণ্ডহীন ভালো মানুষও দরকার নেই।’’

তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার কমিশনের নেতৃত্বে এমন মানুষ প্রয়োজন, যারা সৎ, নীতিমান এবং ক্ষমতার সঙ্গে সাহস করে লড়াই করতে সক্ষম।

নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা বনাম বাস্তবতা

মানবাধিকার কমিশনকে একটি শক্তিশালী ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দীর্ঘদিন ধরে নাগরিক সমাজ দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু খসড়া অধ্যাদেশে এমন কোনো কাঠামো নেই যা কমিশনকে ক্ষমতাসীন মহলের বাইরে থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দেবে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন দেবপ্রিয়।

অন্যান্য বক্তাদের অভিমত

সংলাপে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মানবাধিকার রক্ষার মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে একটি দুর্বল কমিশন কেবল জনগণের আস্থা নষ্ট করবে।

Manual8 Ad Code

গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী মনে করেন, রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে কমিশনের হাতে স্বাধীন তদন্তের ক্ষমতা থাকা আবশ্যক।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক বলেন, নারীর অধিকার রক্ষায় শক্তিশালী মানবাধিকার কমিশন অপরিহার্য।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক ও সারা হোসেন, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, চাকমা সার্কেলের প্রধান রানী ইয়ান ইয়ানসহ অন্যান্য বক্তারাও কমিশনের কাঠামোগত দুর্বলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

শক্তিশালী কমিশনের দাবি

বক্তারা একমত হয়ে বলেন, মানবাধিকার রক্ষার জন্য কমিশনের কার্যকর ক্ষমতা, স্বাধীনতা এবং সাহসী নেতৃত্ব অপরিহার্য। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানটি কেবল নামেই থেকে যাবে, বাস্তবে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে না।

 

Manual1 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code