মাস্ক ব্যবহারে চশমা ঘোলাটে হওয়া এড়াতে যা করব আমরা

প্রকাশিত: ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২০

মাস্ক ব্যবহারে চশমা ঘোলাটে হওয়া এড়াতে যা করব আমরা

সমর অাধ্য, অাগরতলা (ভারত), ১৩ জুলাই ২০২০ : স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যেসব পরামর্শ দিয়ে আসছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো, ফেস মাস্ক পরা। ফলে নিরাপদ থাকতে পথেঘাটে, অফিসে সবাই এখন পরছেন।

মাস্ক পরলে বেশিরভাগ মানুষেরই সমস্যা হয় না, কিন্তু যারা চশমা পরেন তারা একটা সমস্যায় পড়েন, চশমার কাঁচ ঘোলাটে হয়ে যায়।

কেননা প্রশ্বাস থেকে নির্গত বাতাস চশমাতে গিয়ে জমা হয়। এতে এক পর্যায়ে চশমা ঘোলাটে হয়ে যায়। আর তাই কিছুক্ষণ পর পর চশমার কাঁচ পরিষ্কার করতে হয়। এতে চোখে ভাইরাস যাওয়ার আশঙ্কা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

তবে চশমা ঘোলাটে হওয়ার এই সমস্যা এড়ানোর কার্যকর উপায় রয়েছে।

ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমেই চশমা ঘোলাটে হওয়ার পরিমাণ কমানো যায়।

★ সাবান-পানি

ঘোলাটে হওয়ার পরিমাণ কমাতে মাস্ক পরার আগে চশমার কাঁচকে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে পারি। এতে কাজ হয় বলে জানিয়েছেন ‘দ্য রয়েল কলেজ অব সার্জনস অব ইংল্যান্ড’ এর একজন সার্জন।

তিনি বলেন, ‘সাবান পানিতে চশমার কাঁচ ধুয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিলে কুয়াশা প্রতিরোধ হবে।’

এর কারণ হলো, সাবান সারফেস অ্যাক্টিভ অ্যাজেন্ট (সারফেক্ট্যান্ট) হিসেবে কাজ করে ও চশমার কাঁচে একটি পাতলা আবরণ সৃষ্টি করে, যা চশমাকে ঘোলাটে হতে দেয় না।

★ শেভিং ক্রিম

চশমা ঘোলাটে হওয়া প্রতিরোধে আরেকটি সহজ উপায় হলো শেভিং ক্রিম। চশমার কাঁচে সামান্য শেভিং ক্রিম লাগাবো। এরপর শুষ্ক কাপড় দিয়ে আলতো করে ঘষে মুছে ফেলবো। পানি ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

★ বেবি শ্যাম্পু

বেশিরভাগ শ্যাম্পুতে সারফেক্ট্যান্ট উপাদান থাকে। ফলে মাস্ক পরার আগে চশমার কাঁচকে বেবি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে পারি।

চশমার কাঁচে সামান্য পরিমাণ বেবি শ্যাম্পু লাগিয়ে ভেজা কাপড় দিয়ে হালকা করে ঘষে নেব। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবো।

★ টুথপেস্ট

ঘোলাটে চশমা পরিষ্কারের আরেকটি সহজ উপাদান হলো টুথপেস্ট। সামান্য পেস্ট চশমায় লাগিয়ে টুথব্রাশ দিয়ে আলতো করে ঘষে নেব। এতে চশমার কাঁচ পরিষ্কার এবং চকচকে হয়ে উঠবে।

★ ক্লিনার

প্রয়োজনে অ্যান্টি-ফগ ক্লিনার ব্যবহার করতে পারি। চশমার দোকানগুলোতে এই ক্লিনার সহজেই পাওয়া যায়। এটি চশমাকে ১-৩ দিন পর্যন্ত ঘোলাটে হওয়া থেকে রক্ষা করবে।

আমরা চাইলে বাসায় সহজেই অ্যান্টি-ফগ ক্লিনার তৈরি করে নিতে পারি।

এজন্য প্রথমেই ৩০ মিলি গ্লিসারিন এবং ১০ মিলি তরল সাবান মিশ্রিত করি, এরপর এতে কয়েক ফোঁটা টারপেনটাইন যুক্ত করি এবং ভালো করে নাড়ি।

এই ঘরোয়া ক্লিনার আমরা চশমার কাঁচে ব্যবহার করতে পারি, যা ৩-৪ ঘণ্টা চশমাকে ঘোলাটে হতে দেবে না।

আসুন, আমরা সুস্থ থাকি। অন্যকেও সুস্থ থাকতে সহায়তা করি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ