শ্রমজগতের রূপান্তর-রূপরেখা বাস্তবায়নে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময়

প্রকাশিত: ১১:০০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২৫

শ্রমজগতের রূপান্তর-রূপরেখা বাস্তবায়নে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময়

Manual8 Ad Code

বিশেষ প্রতিনিধি | ঢাকা, ২৮ জুলাই ২০২৫ : শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ‘শ্রমজগতের রূপান্তর-রূপরেখা’ বাস্তবায়নে করণীয় বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ- বিলস ও গার্মেন্টস সেক্টরের ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন সমূহের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুলাই ২০২৫) রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশন অডিটরিয়ামে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সভাপতি এবং বিলসের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।

Manual1 Ad Code

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিল্‌সের যুগ্ম মহাসচিব ও নির্বাহী পরিচালক এবং শ্রম সংস্কার কমিশন- ২০২৪ এর প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ।

Manual7 Ad Code

প্রথম পর্বে সভা সঞ্চালনা করেন বিলসের পরিচালক কোহিনূর মাহমুদ এবং দ্বিতীয় পর্বে সঞ্চালনা করেন বিল্‌সের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নইমুল আহসান জুয়েল।

সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম সংস্কার কমিশন—২০২৪ এর সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, আনোয়ার হোসেন এবং সাকিল আখতার চৌধুরী। সভায় কমিশনের প্রতিবেদনের সুপারিশের সংক্ষিপ্তসার উপস্থাপন করেন এডভোকেট নজরুল ইসলাম।

Manual2 Ad Code

সভায় দেশের বিভিন্ন নারী অধিকার সংগঠন, জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের নারী নেতৃবৃন্দ এবং তৈরি পোশাক খাতের ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনসমূহের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

সভায় বক্তাগণ কমিশনের সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি, বিভিন্ন পক্ষের অংশগ্রহণে জাতীয় পর্যায়ে একটি প্লাটফরম তৈরি, সাধারণ শ্রমিকদের মাঝে সুপারিশের বিষয়বস্তু অবহিতকরণের জন্য মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো এবং সরকারের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

সভায় প্রতিনিধিগণ কমিশনের প্রতিবেদনের নারী বিষয়ক সুপারিশসমূহ নিয়ে মাঠ পর্যায়ের শ্রমিকদের মাঝে প্রচার এবং প্রসারের আহবান করেন।

অনেকেই জানান, কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পর তারা গৃহশ্রমিকের ডেটাবেজ তৈরি শুরু করেছেন।

রাজেকুজ্জামান রতন প্রস্তাব করেন যে, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নারী শ্রমিক ও নারী অধিকারকর্মীদের একটি কনভেনশন আয়োজন করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, কমিশনের সুপারিশসমূহ বুকলেট আকারে একটি “গাইড টু অ্যাকশন” হিসেবে বিবেচনা করে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।

সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ বলেন, কমিশনের কার্যক্রমের জন্য মাঠপর্যায়ে যারা কাজ করে এবং যারা কমিশনের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে তাদের অবদান বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি উল্লেখ করেন যে, মাঠপর্যায়ে সমস্যাগুলো এখনো প্রকট রয়ে গেছে—যেমন, সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী নারী কর্মীরা এখনো মাতৃত্বকালীন ছুটি পান না। আমাদের মধ্যবিত্ত কাঠামোর মধ্যে এখনও বৈষম্য বিরাজমান, এবং সমস্যাগুলো যেমন বিভক্ত, তেমনি আমাদের শক্তিও বিভক্ত।
তিনি জোর দেন, সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য সকল অংশীজনকে একত্র হয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কয়েকটি সংগঠন মিলে নারী অধিকার বিষয়ক যে দাবিগুলো দীর্ঘদিন ধরে তুলে আসছে, তা কমিশনের সুপারিশের মাধ্যমেই একটি স্বীকৃতি পেয়েছে। এই সুপারিশগুলোকে মূল দাবিসমূহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখার সুযোগ নেই। বরং নারী শ্রমিকদের হাজার বছরের বন্ধন, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে কাজ শুরু করতে হবে। কমিশন শুধু দাবিগুলোকে একত্র করেছে—কাজের দায় কিন্তু আমাদের সবার। আমাদের নারীদের বৈষম্য এবং হয়রানির প্রতি যে আবেগ ও দায়বদ্ধতা আছে, তা কাজে লাগিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

Manual6 Ad Code

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code