বাজেটে যুবকদের কর্মসংস্থান ও প্রণোদনার দাবি যুবমৈত্রীর

প্রকাশিত: ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২০

বাজেটে যুবকদের কর্মসংস্থান ও প্রণোদনার দাবি যুবমৈত্রীর

ঢাকা, ১৬ জুন ২০২০: প্রস্তাবিত বাজেটে বেকার ভাতা এবং করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও প্রণোদনার দাবি করেছে বাংলাদেশ যুবমৈত্রী।

সংগঠনটির সভাপতি সাব্বাহ আলী খান কলিন্স ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মুতাসিম বিল্লাহ সানি এক যৌথ বিবৃতিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও প্রণোদনা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর কোনো বক্তব্য না থাকায় হতাশা, দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রবাসী শ্রমিকরা চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে আসছেন। দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশ থেকে ফেরত আসা বিশাল বেকার যুবসমাজের কর্মসংস্থানের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বা কর্মসংস্থানপূর্ব আপদকালীন সময়ে বেকার ভাতা বা প্রণোদনা বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য থাকা উচিত ছিলো৷

তারা বলেন, করোনা মোকাবিলায় দেশের সকল নাগরিকের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্যখাতে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর হলেও তা কতটুকু সুফল বয়ে আনবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সুফল জনগণ ভোগ করবে যদি বররাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার, দুর্নীতি বন্ধ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায় এবং মেডিকেল যন্ত্রপাতি ক্রয় নীতিমালাসহ স্বাস্থ্যখাতের ব্যয়কাঠামোতে আমূল পরিবর্তন আনা যায়। কিন্তু এসব বিষয়েও অর্থমন্ত্রী নিরব।

নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের পথে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে সে সময় মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব তরুণ ও যুবসমাজের তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করবে।

সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঘোষিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলেও নেই খেলাপী ঋণ আদায় এবং ঋণখেলাপীদের বিরুদ্ধে অর্থমন্ত্রী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে কোনো কথা না বলে প্রকারান্তরে ব্যাংকব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া ঋণখেলাপীদের পক্ষই অবলম্বন করেছেন।যা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় ও তেলে মাথায় তেল দেয়ার সামিল।

নেতৃদ্বয়, বেকার ভাতা ও শ্রমজীবী কিন্তু করোনাকালে কর্মহীন যুবদের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ প্রণোদনার জোর দাবি জানান।

২০২০-২০২১ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেকার ভাতা এবং পাশাপাশি বেকারদের কর্মসংস্থান ও প্রণোদনার দাবি করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, অারপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ অামিরুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন ডিজিটাল অগ্রগতির পথে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে সে সময় মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করবে। অার তাই মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহার করার দাবি করছি।