মধ্য-ফেব্রুয়ারি ছাত্র অভ্যুত্থান দিবসের শহীদের প্রতি ছাত্রমৈত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত: ১২:০৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২

মধ্য-ফেব্রুয়ারি ছাত্র অভ্যুত্থান দিবসের শহীদের প্রতি ছাত্রমৈত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

Manual3 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ : আজ মধ্য-ফেব্রুয়ারি ছাত্র অভ্যুত্থান দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে মজিদ কমিশন ও স্বৈরাচারী সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের সকল শহিদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানিয়ে সকাল ৯টায় হাইকোর্টস্থ শিক্ষা চত্ত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী। এসময় উপস্থিত ছিলেন ‘৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর প্রাক্তন সভাপতি ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড নুর আহমদ বকুল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা এবং ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য কিশোর রায়, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর প্রাক্তন সভাপতি ও বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি সাব্বাহ্ আলী খান কলিন্স, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক অতুলন দাস আলো, সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম, ইয়াতুন্নেসা রুমা, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীন আহমেদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল বিন শফী রাব্বী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক সুমাইয়া ঝরা, সদস্য ইমরান নুর নীরব প্রমুখ।

Manual2 Ad Code

উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ এবং সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসাবে সামরিক আইন জারি করে। একই বছর এরশাদ নেতৃত্বাদীন সামরিক সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ড. মজিদ খান একটি বিতর্কিত ও গণবিরোধী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করলে ছাত্র সমাজ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং তারা সামরিক সরকার ও শিক্ষানীতি বিরোধী আন্দোলনে অবতীর্ণ হয়। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বটতলায় মিলিত হয়ে সচিবালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে এরশাদের পুলিশ বাহিনী নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপর গুলি ছুঁড়লে এই ঘটনায় জাফর, জয়নাল, মোজাম্মেল, কাঞ্চন, দিপালী নিহত হন। এছাড়াও অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হন। এই দিনটিকে বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে মধ্য ফেব্রুয়ারি ছাত্র অভ্যুত্থান দিবস হিসাবে পালন করে আসছে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে সরকার বাধ্য হয়ে মজিদ কমিশনের শিক্ষানীতি রহিত করলেও পুলিশের গুলি শিক্ষার্থী নিহত, আহত হওয়া এবং জেলজুলুমের মত ঘটনা এই আন্দোলনকে “স্বৈরাচার হটাও” আন্দোলনে পরিণত হয়। যার সূত্র ধরেই পরবর্তীতে ৯০’-এ স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে সামরিক শাসনের অবসান ঘটে।

Manual2 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code