মিশরীয় প্রকিউরমেন্ট টিম সিপিটিইউ ই-জিপি পরিদর্শন করবে

প্রকাশিত: ৯:২১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০২৩

মিশরীয় প্রকিউরমেন্ট টিম সিপিটিইউ ই-জিপি পরিদর্শন করবে

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ০৪ মার্চ ২০২৩ : মিশর থেকে সরকারি ক্রয় কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে আগামীকাল সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটে (সিপিটিইউ) বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি)-এর প্রকিউরমেন্ট সংস্কার এবং বাস্তবায়নের উপর শিক্ষা সেশন শুরু করতে যাচ্ছে। সিপিটিইউ’তে উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) মহাপরিচালক শোহেলার রহমান চৌধুরী।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে, প্রতিনিধিদলের ৫ থেকে ৭ মার্চ, ২০২৩ পর্যন্ত তিন দিনের এই সফরটি বিশ্বব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হবে। এটি ডিজিটালাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্ট (ডিআইএমএপিপিপি) বাস্তবায়নের জন্য সিপিটিইউকে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে। এই অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সামগ্রিক উদ্দেশ্য হল- নকশা উন্নয়ন এবং ই-গভর্নমেন্ট বাস্তবায়নের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক সামর্থ এবং কারিগরি সক্ষমতা জোরদারে মিশরের সরকারী প্রকিউরমেন্ট কর্মকর্তাদের প্রস্তুত করা।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে, মোজাম্বিক প্রজাতন্ত্রের এই জাতীয় আরেকটি দল সিপিটিইউ’তে তিন দিনের সফরে এসেছিল। ২০১১ সাল থেকে, গাম্বিয়া, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, নেপাল, ইথিওপিয়া এবং নাইজেরিয়া বাংলাদেশের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সংস্কার এবং ই-জিপি সিস্টেমের বিষয়ে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য সিপিটিইউ পরিদর্শন করেছে।
মিশর দলের সফরের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য হল- ডিজাইন, উন্নয়ন, বাস্তবায়ন এবং টেকসই পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেমকে ডিজিটালাইজ করার জন্য বাংলাদেশের যাত্রা থেকে শেখা এবং পরামর্শ ও নির্দেশনা গ্রহন করা। সিপিটিইউ ২০১১ সাল থেকে ই-জিপি বাস্তবায়ন করছে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে এটি পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়া এবং চুক্তি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (ই-সিএমএস), ই অডিট ম্যানুয়াল এবং টেন্ডারকারকেদের ডাটাবেজ সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করার জন্য সিস্টেমে কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে। এটি ই-জিপি সিস্টেম, ইলেকট্রনিক কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ই-সিএমএস), ই-অডিট ম্যানুয়াল এবং দরপত্রদাতাদের ডাটাবেসের মাধ্যমে পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আমন্ত্রণ শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ই-জিপির মাধ্যমে প্রায় ৬.৭০ লাখ দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে এক লাখেরও বেশি দরপত্রদাতা এবং ১৪২৭টি ক্রয়কারী সংস্থা ই-জিপি সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ জুন, ২০১১ তারিখে ই-জিপি পোর্টাল উদ্বোধন করেন।
ইলেকট্রনিক ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় হিসেবে বিবেচিত। সিপিটিইউ সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাজ করছে। এটি ইতিমধ্যে ডিআইএমএপিপিপি’র অধীনে একটি টেকসই প্রকিউরমেন্ট পলিসি’র (এসপিপি) খসড়া তৈরি করেছে। মিশর পাবলিক প্রকিউরমেন্টকে শক্তিশালী করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে, বিশেষ করে ২০১৮ সালের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইনের মাধ্যমে, অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে যার লক্ষ্য হচ্ছে- সরকারী ব্যয়ের দক্ষতা অর্জন এবং সুশাসনের নীতিগুলিকে উন্নত করা। ২০২২ সালে মিশর ইলেকট্রনিক প্রকিউরমেন্ট প্রবর্তনের জন্য কোরিয়ান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (কেওআইসিএ) সাথে কাজ করছে।
বিশ্বব্যাংক ইলেকট্রনিক প্রকিউরমেন্ট প্রবর্তনের জন্য মিশরের প্রচেষ্টায় সহায়তা করছে, কারণ এটি হচ্ছে- একটি দক্ষ, স্বচ্ছ এবং আধুনিক সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার মূল স্তম্ভ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ