১৭ জুলাই শোহাদায়ে কারবালা পবিত্র আশুরা

প্রকাশিত: ৬:৪৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০২৪

১৭ জুলাই শোহাদায়ে কারবালা পবিত্র আশুরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ০৬ জুলাই ২০২৪ : আগামী ১৭ জুলাই শোহাদায়ে কারবালা পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

আজ শনিবার (৬ জুলাই ২০২৪) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদার।

বাংলাদেশের আকাশে আজ কোথাও ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামীকাল ৭ জুলাই পবিত্র জিলহজ মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী ৮ জুলাই থেকে পবিত্র মুহাররম মাস গণনা শুরু হবে।

সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর প্রধান কার্যালয়,বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ কাউসার আহাম্মদ, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের ওয়াকফ প্রশাসক মোঃ গোলাম কবীর, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব গাজী তারিক সালমন, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মুন্সী জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

কারবালার ‘শোকাবহ এবং হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল’এই দিনটি মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে মুসলিম বিশ্বে এ দিনটি গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়। বাংলাদেশেও যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভির্যের মধ্যদিয়ে নানা-কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী ১৭ জুলাই শোহাদায়ে কারবালা পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেইন (অা.) ও তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। মর্মস্পর্শী এ ঘটনা স্মরণ করে প্রতি-হিজরি সনের ১০ মহররম বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় শোকাবহ দিনটি পালন করে থাকে। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামে অাহলে বায়েতের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।
কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সকলকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা যোগায়। পবিত্র আশুরা মানেই শোকের-মাতম। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাজিয়া মিছিল’র মাধ্যমে তাদের হৃদয়-নিংড়ানো শোকের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ