এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ সুপারিশ করেছে ইউএনসিডিপি

প্রকাশিত: ৫:৫৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১

এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ সুপারিশ করেছে ইউএনসিডিপি

Manual3 Ad Code

ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ : জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভলপমেন্ট পলিসি (ইউএনসিডিপি) নেপাল এবং লাও পিডিআর এর পাশাপাশি যোগ্যতার তিনটি মানদন্ডই পূরণ করায় দ্বিতীয় বারের মতো স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) অবস্থান থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ করেছে।

Manual7 Ad Code

এলডিসি বিষয়ক সিপিডি সাব কমিটির সভাপতি তাফের তেসফাচিও ইউএনসিডিপি’র এলডিসি ক্যাটাগরি বিষয়ক দ্বিতীয় ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনার পরে গতরাতে এক ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। গত ২২ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি এ পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো মাথাপিছু আয়, মানব সম্পদ এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ঝুঁকির মতো তিনটি উত্তরণ শর্ত পূরণে পুরোপুরি সক্ষম হয়েছে।
মিয়ানমারও পরপর দ্বিতীয়বার উত্তরণের মানদন্ড পূরণ করেছে। তবে ইউএনসিডিপি মিয়ানমার ও পূর্ব তিমুরের জন্য ২০২৪ সালের ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনার জন্য সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে।
মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করায় উন্নয়নের গতি এবং উত্তরণ প্রস্তুতির ওপর নেতিবাচক প্রভাবের উদ্বেগের কারণে জাতিসংঘ প্যানেল দেশটির উত্তরণের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে।
জাতিসংঘ প্যানেল টেকসই উন্নয়নের অগ্রগতির ব্যাপারে অব্যাহত উদ্বেগের কারণে পূর্ব তিমুরের উত্তরণের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে।
প্রথমবারের মতো কোন দেশই ২০২১ সালে অন্তর্ভুক্তির জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়নি।
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য জাতিসংঘ কমিটির সুপারিশের পরে প্রস্তাবটি জুনে অনুমোদনের জন্য জাতিসংঘের ইকোনমিক এন্ড স্যোসাল কাউন্সিলে (ইসিওএসওসি) পাঠানো হবে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রস্তাবটি অনুমোদনের কথা রয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাবের জন্য সিডিপি বাংলাদেশ এবং অপর দুটি দেশের জন্য ২০২৬ সাল পর্যন্ত ৫ বছর সময় দেয়ার সুপারিশ করেছে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে অন্তবর্তীকালীন সময় হিসেবে প্রস্তুতির জন্য ৩ বছরের পরিবর্তে এই ৫ বছর সময় দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ মোট জাতীয় আয়ের (জিএনআই) মানদন্ডে ২০২০ সালে মাথাপিছু আয় ১,২৩০ মার্কিন ডলারের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১,৮২৭ মার্কিন ডলার।
হিউম্যান এ্যাসেট ইনডেক্সে (এইচএআই) বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়িয়েছে ৭৫.৩ পয়েন্ট, যা নির্ধারিত সীমা ৬৬ পয়েন্ট থেকে বেশী।
অর্থনৈতিক ঝুঁকির সূচক (ইভিআই) ৩২ এর কম হওয়ার কথা থাকলেও সূচক দাঁড়িয়েছে ২৭.৩ পয়েন্ট।

Manual7 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code