মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী অাজ

প্রকাশিত: ৪:০০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২০

মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী অাজ

ঢাকা, ১৭ নভেম্বর ২০২০: মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী অাজ।

১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী এবং টাঙ্গাইলের সন্তোষে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হবে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সন্তোষে তার মাজারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং আলোচনা সভা।

মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।
অাজ ১৭ নভেম্বর সকাল ১১টায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে মহান এই নেতার সংগ্রামীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক ভার্চুয়াল স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।
আলোচনায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্টবুদ্ধিজীবী ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল, ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল।
সভায় গণসঙ্গীত পরিবেশন করবেন বিশিষ্ট গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি।
বিঃ দ্রঃ নিম্নে উক্ত ভার্চুয়াল সভার লিংক দেয়া হল www.facebook.com/wpbd71.org – এ যুক্ত হওয়া যাবে।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবারের মতো এবারও পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সব সময় ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে তিনি জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন।
রাষ্ট্রপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বানীতে এ কথা বলেন।
মো. আব্দুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এক অবিস্মরণীয় নাম। ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ বিরোধেী অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে যোগদানের মধ্য দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়।
তিনি বলেন, তাঁর (ভাসানী) নেতৃত্বের ভিত্তি ছিল সমাজে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ, কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ জনগণ। ‘তেভাগা’ ও ‘লাঙল যার জমি তার’ আন্দোলনসহ তিনি অধিকার বঞ্চিত অবহেলিত মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতার কাছে থাকলেও ক্ষমতার মোহ তাঁকে কখনো আবিস্ট করতে পারেনি। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও অত্যন্ত সাদাসিধে একজন মানুষ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী দীর্ঘ কর্মজীবনে দেশ ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও মু্ক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে বলে রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মওলানা ভাসানী মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন কাজ করে গেছেন।
শেখ হাসিনা আগামীকাল ‘মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী-এর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বানীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রীবলেন,“মওলানা ভাসানী মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন কাজ করে গেছেন। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকদের অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধেদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার ও প্রতিবাদী। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে তিনি অনন্য ভূমিকা পালন করেন।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, শোষণ, বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী’র আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী-এর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, অারপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ অামিরুজ্জামান।
শোষণ ও বঞ্চনাহীন এবং প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করেছেন।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি তার কৈশোর- যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ