আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ, না দেখা গেলে শুক্রবার

প্রকাশিত: ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ, মে ১২, ২০২১

আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ, না দেখা গেলে শুক্রবার

ঢাকা, ১২ মে ২০২০ : এক মাস সিয়াম সাধনার পর পবিত্র ঈদুল ফিতর সমাগত। আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ। আর যদি আজ চাঁদ দেখা না যায় তাহলে শুক্রবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।

পবিত্র ঈদুল ফিতর আগামীকাল না শুক্রবার উদযাপিত হবে তা জানা যাবে আজ সন্ধ্যায়। ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে আজ সভায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
বায়তুল মোকাররমে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বাদ মাগরিব এ সভা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
ঈদকে ঘিরে যে আনন্দ-উচ্ছাস থাকার কথা তা ম্লান করে দিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস। গত বছরও এমনটিই কেটেছে।
করোনা মোকাবিলায় ও সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনায় এবার খোলা মাঠে ঈদের নামাজের জামাত হচ্ছে না। ঈদ জামাত হবে মসজিদের ভেতরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
এবার হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত হচ্ছে না। হচ্ছে না শত বছরের ঐতিহ্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানের ঈদ জামাতও। তবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতি বছরের ন্যায় ঈদের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, এবারের ঈদ জামাত আয়োজনে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বলেন, এবারের ঈদে আমাদের পক্ষ থেকে খোলা মাঠে ঈদ জামাত আয়োজনের কোনো উদ্যোগ থাকছে না। তবে সরকারের নির্দেশনা মেনে মসজিদগুলোতে ঈদ জামাত আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক এ বছর ডিএনসিসি আওতাধীন এলাকায় খোলা মাঠে কোনো ধরনের ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে না।
ঈদ জামাত প্রসঙ্গে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের গণসংক্রমণ রোধে কোনো অবস্থাতেই বাইরে ঈদ জামাত আয়োজন করা যাবে না। এরজন্য সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে। আমি নগরবাসীকে অগ্রিম ঈদ শুভেচ্ছা জানাই। আর এটাও অনুরোধ করছি, পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবারের ঈদটা এভাবে উদযাপন করা হোক। আমরা সবাই সুস্থ থাকলে আবার আগের মতো আয়োজন করা যাবে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এবারও পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে এবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের কোন জামাত অনুষ্ঠিত হবে না।
ইসলামিক ফাউেন্ডশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এ জামাতের ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারী কাজী মাসুদুর রহমান।
দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। এ জামাতের ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিববুল্লাহিল বাকী নদভী। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী হাবিবুর রহমান মেশকাত।
তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। এই জামাতের ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন মাওলানা ইসহাক।
সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ জামাত। এ জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন মো. আতাউর রহমান।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ জামাতের ইমামিত করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম হাফেজ মো. শহীদুল্লাহ।
এই ৫টি জামাতে কোনও ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
বতর্মান করোনা পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ২৬ এপ্রিল জারীকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মসজিদের ইমাম-খতিব, মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটি, ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ওয়ার্কার্স পার্টির

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি দেশবাসীকে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আজ এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, দীর্ঘ এক মাস রমজানের রোজা পালন শেষে মহিমান্বিত ঈদ-উল ফিতর মুসলমান সম্প্রদায়ের মাঝে আনন্দ-উৎসব বয়ে আনে। এই উৎসবের মর্মবাণী হলো সকল মানুষকে এই আনন্দে শামিল করা। নেতৃদ্বয় কামনা করে বলেন, পবিত্র ঈদ-উল ফিতর দেশবাসীর জন্য শান্তি সমৃদ্ধি বয়ে আনুক। তারা এই উৎসব যাতে সকলে নির্বিঘ্নে এবং শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারে তা কামনা করেন। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয়,

দেশবাসীকে সতর্ক আহবান জানান যে, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে করোনার ভারতীয় ধরণ সনাক্ত হয়েছে যা উদ্বেগজনক। এই ধরণটির সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশী বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তাই মানুষকে খুব বেশী সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা চলমান স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশকে সুরক্ষা ও নিরাপদ রাখার মনোভাব নিয়ে ঈদ উদযাপন আহবান জানিয়েছে।

সৈয়দ আমিরুজ্জামানের শুভেচ্ছা

দেশবাসীকে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আমিরুজ্জামান। পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে আরও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক তাপস কুমার ঘোষ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি দেওয়ান মাসুকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দীন এবং শ্রীমঙ্গল পৌর শাখার সভাপতি শেখ জুয়েল রানা ও সাধারণ সম্পাদক রোহেল আহমদ, বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি জামাল মুশরাফিয়া ও বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অজিত বোনার্জি।

দরবারে রহমানপুরী ও তরীকত ফেডারেশনের ঈদের শুভেচ্ছা

দেশবাসীকে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং রহমান পুর দরবার শরীফের গদ্দীনশিন পীর শাহজাদা সৈয়দ রায়হান শাহ রহমানপুরী।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ