সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যা ও আবহাওয়ার পূর্বাভাস

প্রকাশিত: ১:২৫ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২২

সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যা ও আবহাওয়ার পূর্বাভাস

এম অার এম অাব্দুল্লাহ |

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার অধিকাংশ স্থান প্লাবিত। টাংগুয়ার হাওরে বেড়াতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন ছাত্র আটকে পড়ায় তারা উদ্ধারের জন্য আর্তি জানিয়েছে। সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা সদরেও কোমর পানি। উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী তলব করা হয়েছে। আজ ১৮ জুন,২০২২ তারিখের খবরে দেখলাম বন্যার কারণে সিলেট বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে-বিচ্ছিন্ন রয়েছে রেল যোগাযোগ। টেলিভিশনে গত কয়েক দিন ধরে এ সব সংবাদ দেখে আমরা বিমূঢ়। এ ধরনের একটি ভয়াবহ বন্যা যে ধেয়ে আসছে সে সম্পর্কে মিডিয়ায় কোন “বিশেষ সতর্কবার্তা“ প্রচার হতে দেখিনি।

আবহাওয়ার উপাদান যেমন বায়ুপ্রবাহ, তাপ, চাপ, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা এবং কোন স্থানের ভৌগোলিক অবস্থান বিশ্লেষণ করে বর্তমান কালে প্রায় নিখুঁতভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস হবার আশংকা দেখা দিলে আমাদের দেশেও যথাযথভাবে পূর্বাভাস দেয়া হয় এবং রেডিও টেলিভিশনে বারবার ঘোষণা দিয়ে জনসাধারণকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়। রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা মাইকিং করেও মানুষকে সতর্ক করে থাকেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সিলেট-সুনামগঞ্জের ভয়াবহ বন্যার ক্ষেত্রে বিশেষ কোন পূর্ব তৎপরতা চোখে পড়েনি। সিলেট ও সুনামগঞ্জ সংলগ্ন ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যে ভারী বর্ষণ হলে সে পানি কত ক্ষণে দক্ষিণের সিলেট ও সুনামগঞ্জে নেমে আসবে এবং কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে সে ব্যাপারে পূর্বাভাস প্রদানের জন্য কোন অত্যাধুনিক প্রযুক্তিরও প্রয়োজন করে না – যে কোন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আবহাওয়াবিদের পর্যবেক্ষণই যথেষ্ট।

যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে মানুষকে “বিশেষভাবে সতর্ক“ করা উন্নত দেশের চেয়ে আমাদের মতো রউন্নয়নশীল দেশের বেশী প্রয়োজন। ভয়াবহ বন্যা ধেয়ে আসছে এ বিষয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জের মানুষকে বিশেষভাবে সতর্ক করা গেলে মানুষের দুর্ভোগ ও ক্ষয়ক্ষতি অনেক কমিয়ে আনা যেতো।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ