সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেই শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরানো হবে

প্রকাশিত: ৬:৪৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১

সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেই শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরানো হবে

ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেই শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরানো হবে।
তিনি আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ১৫টি শীর্ষস্থানীয় উন্নয়ন সংস্থার ’নিরাপদ ইশকুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিশুদের বিদ্যালয়ে ফেরাতে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। তবে সকল ঝুঁকি বিবেচনা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেই শিক্ষার্থীদের ফেরানো হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতি আমাদের সামনে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্মুল্যায়ন ও সংস্কারের একটি সুযোগও তৈরী করেছে।
শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগ, প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন ও দাতা সংস্থা সবাই একসাথে কাজ করেই শিশুদের নিরাপদে স্কুলে ফেরাতে চায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ, বাংলাদেশে ইউনিসেফের উপ-প্রতিনিধি ভিরা মেন্ডোনকা এবং বাংলাদেশস্থ কানাডার হাইকমিশনের হেড অব ডেভলপমেন্ট এ্যাসিট্যান্স ফেদ্রা মুন মরিস।
ইউনিসেফের উপ-প্রতিনিধি ভিরা মেন্ডোনকা মহামারির মধ্যে শিশুদের জন্য স্কুলকে সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হিসেবে নিশ্চিত করতে উন্নয়ন সংস্থা এবং সরকারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এদিকে, শিক্ষক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকাদানের সরকারি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশস্থ কানাডার হাইকমিশনের হেড অব ডেভলপমেন্ট এ্যাসিট্যান্স ফেদ্রা মুন মরিস।
উল্লেখ্য, ‘নিরাপদে ইশকুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য হলো সরকারকে সহায়তা করা যাতে করে শিশু, পরিবার, অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রস্তুত হতে পারে। এই ক্যাম্পেইনে যোগদানকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলো হল- ব্র্যাক, ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, এডুকো বাংলাদেশ, এফআইভিডিবি, ফ্রেন্ডশিপ, হিউম্যানিটি ইনক্লুশন, জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, রুম টু রিড, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ, সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ, স্ট্রমি ফাউন্ডেশন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ