শিল্পী-সাহিত্যিকদের ভূমিকা রাজনৈতিক দলগুলো ভুলে যাচ্ছে: মামুনুর রশীদ

প্রকাশিত: ৬:৩২ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২২

শিল্পী-সাহিত্যিকদের ভূমিকা রাজনৈতিক দলগুলো ভুলে যাচ্ছে: মামুনুর রশীদ

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ১৮ জুন ২০২২ : ‘রাজনৈতিক দলগুলো শিল্পী-সাহিত্যিকদের ভূমিকা ভুলে যাচ্ছে। অথচ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের সম্মিলন না হলে আমাদের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ হতো না।’ কালজয়ী সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির ৮৬তম মৃত্যুদিবস উপলক্ষে ‘গণতান্ত্রিক ও সাম্যবাদী আন্দোলনে সাহিত্য এবং সংস্কৃতির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নাট্যজন ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতা মামুনুর রশীদ এ কথা বলেন।
আজ শনিবার (১৮ জুন ২০২২) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।

এতে মামুনুর রশীদ বলেন, যখন দেখি রাজনৈতিক নেতাদের অনেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন, কিন্তু জীবনে একটু নাটক দেখেননি, গল্পের বই পড়েননি, একটি উপন্যাস পড়েননি; তখন তাঁকে বাঙালিই মনে হয় না। এটাও মনে হয় না তাঁর দ্বারা দেশের কল্যাণ হবে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রেরণা ছাড়া জীবন নিরর্থক। মানুষ একটি প্রেরণার পেছনে জীবন কাটিয়ে দেয়। সেই প্রেরণা সাহিত্য ও মানুষের জীবন থেকে আসে। ম্যাক্সিম গোর্কি আমাদের জীবনে অসীম প্রেরণার উৎস ছিলেন।’

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড নূর আহমদ বকুল বলেন, এই ক্রান্তিকালে যেখানে ভোগবাদ ও মৌলবাদ চেপে বসেছে, যেখানে মানুষে মানুষে পার্থক্য বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন বাংলাদেশের মানুষের আট কোটি টাকা সুইস ব্যাংকে জমা হচ্ছে। দেশের অর্থনীতি, সমাজনীতি, উৎপাদন, মানুষের সম্পর্ক, সংস্কৃতি—আমরা কী লোভে সব বিকিয়ে দেব?’ এই সংকট থেকে উত্তরণে রাজনীতির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান কমরেড নূর আহমদ বকুল।

সংস্কৃতিজন অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী বলেন, ‘বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সংগ্রাম ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা। এই লড়াইয়ের বিরুদ্ধে শিল্পী-সাহিত্যিকদের এক হতে হবে। শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের দুর্দশা আমরা দেখছি। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত এই দুর্দশা সংস্কৃতি ও আপনার ভাবনার মধ্যে যুক্ত না হবে, ততক্ষণ কোনো পরিবর্তন আসবে না।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, রাজনীতিবিদদের সাংস্কৃতিক অঙ্গীকার থাকতে হয়, আর সংস্কৃতিকর্মীদের রাজনৈতিক চেতনা থাকতে হয়। তাহলে একটি সমাজ ও রাষ্ট্র সুন্দরভাবে এগোয়।

কমরেড কাজী মাহমুদুল হকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ইমতিয়ার শামীম।
এতে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি দর্শক সারিতে উপস্থিত থাকলেও কোনো বক্তব্য দেননি।