তাজরীন ট্র্যাজেডি দিবস আজ, তেরো বছর পূর্ণ হলেও ক্ষতিপূরণ পায়নি আহত ও নিহতদের পরিবার!

প্রকাশিত: ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০২৫

তাজরীন ট্র্যাজেডি দিবস আজ, তেরো বছর পূর্ণ হলেও ক্ষতিপূরণ পায়নি আহত ও নিহতদের পরিবার!

Manual6 Ad Code

 

Manual1 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ২৪ নভেম্বর ২০২৫ : ঢাকার উপকণ্ঠ সাভারের আশুলিয়ায় ইতিহাসের ভয়াবহ তাজরীন গার্মেন্টস অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তেরো বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। নিহত শ্রমিকদের স্মরণে পুড়ে যাওয়া কারখানার সামনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নিহত শ্রমিকদের পরিবার, আহত শ্রমিক ও পুলিশসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।

শ্রমিক হত্যাকান্ডের তেরো বছর পূর্ণ হলো অথচ আজ পর্যন্ত হত্যাকারী মালিকের সাজা হলো না। ক্ষতিপূরণ পেলো না নিহত শ্রমিকদের পরিবার, আহত শ্রমিকদের করা হলো না পূনর্বাসন। শ্রমিকের জীবনের বিনিময়ে যে অর্থনীতির প্রতিটি স্তর নির্মিত, সেই অর্থনীতিতে শ্রমিকের ন্যায্য হিস্যা কতটুকু? যে অর্থনীতি শ্রমিকের জীবনের নিরাপত্তা দেয় না, ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করে না, পূনর্বাসন নিশ্চিত করে না, হত্যাকারীকে সাজার পরিবর্তে নির্বিগ্নে চলার সুযোগ করে দেয় ….. সেই অর্থনীতি এবং অর্থনীতির ধারক রাষ্ট্র ব্যবস্থা শ্রমিকের জন্য কতটুকু কল্যাণকর? শ্রমিক কি শুধু জীবন দিয়েই যাবে, অর্থনীতিতে শ্রমিকের ন্যায্য হিস্যা কি নিশ্চিত করবে না রাষ্ট্র? আজও শ্রমিককে মুনাফার আগুনে পুড়ে মরতে হচ্ছে। মালিক, ব্রান্ড-বায়ার এবং রাষ্ট্র কি এর দায় এড়াতে পারে?

তাজরীন দিবসে নিহত শ্রমিকদের পরিবারবর্গের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের পুনর্বাসনের দাবী জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান।

Manual4 Ad Code

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বরে সাভারের তাজরীন গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, তেরো বছর পূর্ণ হলেও শেষ হয়নি বিচারকাজ। সেই দুঃসহ স্মৃতি হৃদয় থেকে ভুলতে পারেনি অগ্নিকাণ্ডে হতাহত শ্রমিক ও তাদের পরিবার। দেশের ইতিহাসে শতাধিক শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ট্র্যাজেডি এটাই প্রথম।

Manual7 Ad Code

আজও সে রাতের কথা মনে পড়লে আঁতকে ওঠেন আহতরা। একযুগ পর নিশ্চিন্তপুরের ভবনটি দাঁড়িয়ে থাকলেও একসময়ের কর্মঠ শ্রমিকরা এখন আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছেন না। শারীরিক যন্ত্রণা, সংসারের অনটনের পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি না পাওয়ার আক্ষেপে দিন কাটছে তাদের।

Manual3 Ad Code

শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনের নেতারা বলছেন, ১৩ বছরেও হতাহত শ্রমিকরা পায়নি পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা। এ ছাড়া সরকার ও বিজিএমইএর কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী মেলেনি প্রাপ্তি।

কারখানাটিতে এক হাজার ১৬৩ জন শ্রমিক কাজ করতেন, দুর্ঘটনার সময় ৯৮৪ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। মরদেহ শনাক্ত হওয়ায় ৫৮ জনকে পরিবার ও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্যদের মরদেহ শনাক্ত না হওয়ায় তাদের জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ