মৌলভীবাজারে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৪৫ বছর পূর্তি উৎসব আড্ডা

প্রকাশিত: ৯:৩৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪

মৌলভীবাজারে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৪৫ বছর পূর্তি উৎসব আড্ডা

Manual7 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক | মৌলভীবাজার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ : আলোকিত মানুষ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ৪৫ বছর পার করলো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। প্রাণখোলা আড্ডা, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মুখরিত হয়েছে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির মৌলভীবাজার ইউনিটের সদস্যরা।

Manual1 Ad Code

এ উপলক্ষে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) বিকাল ৪টায় মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হলরুমে বরেণ্য ব্যক্তি, ছাত্র-শিক্ষক ও সদস্যদের উপস্থিতিতে আয়োজন করা হয় এ পূর্তি উৎসব আড্ডা।

Manual8 Ad Code

Manual5 Ad Code

ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির মৌলভীবাজার ইউনিটের লাইব্রেরি কর্মকর্তা মো. রবিউল আলমের পরিচালনায় ও মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইন্সট্রাকটর আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় এ পূর্তি উৎসব আড্ডায় কবিতা আবৃত্তিসহ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সংগঠক, সাপ্তাহিক নতুন কথা’র বিশেষ প্রতিনিধি, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান।


কবিতা আবৃত্তিসহ বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইন্সট্রাকটর (সিভিল কনট্রাকশন) মো. রমজান আলী, ইন্সট্রাকটর (ইলেকট্রিক্যাল) জাকির হোসেন, ইন্সট্রাকটর মো. আরিফ হোসেন, ইন্সট্রাকটর আসাদুজ্জামান প্রধান, মো. ইমরান ও জয় আহমেদ প্রমুখ।


এছাড়াও সার্বিক সহযোগিতা করেন ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি’র গাড়ি চালক মো. শামিম আহমেদ ডালিম।


সদস্যদের মধ্যে গান পরিবেশন ও কবিতা আবৃত্তি করেছে নাছিমা আক্তার প্রীতি, ফৌজিয়া আক্তার, হাবিবা আক্তার, মমতা বেগম, ফৌজিয়া বেগমসহ অন্যান্যরা।

Manual4 Ad Code

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৪৫ বছর পূর্তি উৎসব আড্ডায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, সাপ্তাহিক নতুন কথা’র বিশেষ প্রতিনিধি, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, “আলোকিত মানুষ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে স্বপ্নদ্রষ্টা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের হাত ধরেই সত্তর দশকের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। হাটি হাটি পা পা করে ৪৫ বছর পূর্ণ হয়েছে তার। স্বাধীন, প্রজ্ঞাসম্পন্ন, চিন্তাশীল ও সৃজনশীল মূল্যবোধসম্পন্ন, শক্তিশালী মানুষ তৈরির লক্ষ্যেই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ৪৫ বছর থেকে কাজ করছে। সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজবিদ্যাসহ বিশ্বজ্ঞানের শ্রেষ্ঠ বইগুলোর পঠন-পাঠন এই কাজের অন্তর্ভুক্ত।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র কোনো গৎ-বাঁধা, ছক-কাটা, প্রাণহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং একটি সপ্রাণ সজীব পরিবেশ- জ্ঞান ও জীবন সংগ্রামের ভেতর দিয়ে পূর্ণতর মনুষ্যত্বে ও উন্নততর আনন্দে জেগে ওঠার এক অবারিত পৃথিবী। এক কথায়, যাঁরা সংস্কৃতিবান, কার্যকর, ঋদ্ধ মানুষ- যাঁরা অনুসন্ধিৎসু, সৌন্দর্যপ্রবণ, সত্যান্বেষী; যাঁরা জ্ঞানার্থ, সক্রিয়, সৃজনশীল ও মানবকল্যাণে সংশপ্তক ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র; তাঁদের পদপাতে, মানসবাণিজ্যে, বন্ধুতায়, উষ্ণতায় সচকিত একটি অঙ্গন।
মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং বিভিন্নবিষয়ক জ্ঞান ও রুচিশীল সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার বিকাশ ঘটানো এর উদ্দেশ্য।”

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code