শীতে বাড়ছে স্কাবিস বা খোসপাঁচড়া: সচেতনতার আহ্বান ডাঃ জাকিরের

প্রকাশিত: ১০:১২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২৫

শীতে বাড়ছে স্কাবিস বা খোসপাঁচড়া: সচেতনতার আহ্বান ডাঃ জাকিরের

Manual1 Ad Code

বিশেষ প্রতিনিধি | লক্ষ্মীপুর, ২৫ নভেম্বর ২০২৫ : শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে যেসব রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তার মধ্যে স্কাবিস বা খোসপাঁচড়া অন্যতম। বিশেষত গ্রামীণ ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় রোগটি তুলনামূলক বেশি দেখা যায়। এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার এবং আশুরা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড মেডিকেল সার্ভিসেস (প্রাঃ)-এর চিকিৎসক ডা. মো. জাকির হোসেন (এমবিবিএস, সিএমসি) বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন।

Manual1 Ad Code

সম্প্রতি আমাদের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান রাসেল-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় ডা. জাকির হোসেন বলেন, “শীতের মৌসুমে খোসপাঁচড়া তুলনামূলকভাবে বেশি বিস্তৃত হয়। আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় ও মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্কাবিস দ্রুত একজন থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং নিম্ন আয়ের পরিবারের সদস্যরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে।”

Manual3 Ad Code

তিনি জানান, স্কাবিস মূলত একটি চুলকানিজনিত ত্বকের সংক্রমণ যা সারকপটিস স্ক্যাবিই নামে একধরনের ক্ষুদ্র পরজীবী মাইটের কারণে হয়। এর প্রধান উপসর্গ হলো তীব্র চুলকানি, বিশেষ করে রাতে। হাতের আঙুলের ফাঁক, বগল, কোমর, কবজি ও যৌনাঙ্গে লাল দাগ ও ফুসকুড়ি দেখা যায়।

ডা. জাকির হোসেন বলেন, “এ রোগে আক্রান্ত হলে পুরো পরিবারকে একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে হবে। শুধু আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিলে রোগ সম্পূর্ণ নির্মূল না হয়ে আবারও ছড়িয়ে পড়তে পারে। চিকিৎসা হিসেবে সাধারণত পারমেথ্রিন–জাতীয় ক্রিম বা মলম ব্যবহার করা হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ ব্যবহার করা ঠিক নয়।”

রোগ প্রতিরোধে তিনি কিছু পরামর্শ দেন—

আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত কাপড়, বিছানার চাদর, বালিশের ওড়না ইত্যাদি গরম পানিতে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে।
পরিবারের সবাইকে ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি ত্বক-স্পর্শ কমাতে হবে।
প্রয়োজন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, “স্কাবিস ভয়াবহ কোনো রোগ নয়, তবে অবহেলা করলে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই সচেতন থাকা জরুরি।”

চিকিৎসকদের মতে, রোগ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই শীতের মৌসুম শুরু হওয়ার আগে থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

Manual4 Ad Code

 

Manual1 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ