গ্রামে ই-কমার্স পণ্যের ডেলিভারি ব্যবস্থা করুন: নাসিমা আক্তার নিশা

প্রকাশিত: ১:৫৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২১

গ্রামে ই-কমার্স পণ্যের ডেলিভারি ব্যবস্থা করুন: নাসিমা আক্তার নিশা

Manual7 Ad Code

সৈয়দা তাহমিনা বেগম, সহকারী সম্পাদক || ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২১ : সারাদেশের গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ই-কমার্স পণ্যের ডেলিভারি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আসছে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সরকারের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ চান উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের (উই) সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা। তিনি অনলাইনে সক্রিয় প্রায় ১১ লাখ নারী উদ্যোক্তার সমস্যা তুলে ধরে বলেন, ‘ইন্টারনেটের দাম অনেক বেশি। আসছে বাজেটে ইন্টারনেটের দাম কমাতে হবে। গ্রামে গ্রামে ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়াইফাই ইন্টারনেট চাই।

Manual2 Ad Code

গ্রামের নারী উদ্যোক্তাদের মোবাইল ডাটা কিনে ব্যবসা করতে হয়। এতে প্রচুর অর্থ খরচ হচ্ছে। ফলে ত‚ণমূলের নারীর আয়ের একটা বড় অংশ চলে যাচ্ছে মোবাইল ইন্টারনেটের ডাটা কিনতে। তাই প্রতিটি ঘরে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা চাই। ’
আলাপকালে এসব কথা বলেন উই সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা।
তিনি বলেন, ‘নারী ই-কমার্স উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য ডেলিভারি করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন। এখানে পদে পদে ভোগান্তি হচ্ছে।
সারাদেশের গ্রামপর্যায়ে ডাক বিভাগের মাধ্যমে সরকার ই-কমার্স পণ্য ডেলিভারি প্রদানের ব্যবস্থা করতে পারে। আবার বিদেশে রপ্তানি করতে গিয়েও এই ডেলিভারি খরচ পণ্যের দামের চেয়ে বেশি হচ্ছে। ডিএইচএল কুরিয়ারে একটি পণ্য পাঠালে যে খরচ হয় বর্তমানে, এর চেয়ে পণ্যের দাম অনেক কম। ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা চাই সরকারি বা বেসরকারি কিংবা যৌথ উদ্যোগেই হোক না কেন, যে কোনো মূল্যে পণ্য ডেলিভারি ব্যবস্থা সহজ করা হোক। একই সঙ্গে পণ্য পরিবহন খরচও কমাতে হবে। পাশাপাশি খাবার ডেলিভারি ব্যবস্থাও করতে হবে সহজ। ’
তিনি বলেন, আসছে বাজেটে ট্রেড লাইসেন্স ফি ও নবায়ন ফি কমাতে হবে। ট্রেড লাইসেন্সের জন্য উদ্যোক্তাদের জেলাভিত্তিক আলাদা একটা স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হোক, যাতে করে তারা ট্রেড লাইসেন্সের জন্য সহজে আবেদন করতে পারেন। লাইসেন্স নবায়ন ফি যেন আগের চেয়ে কম মূল্য ধার্য করা হয়।
কারণ উদ্যোক্তারা ট্রেড লাইসেন্স করেন, কিন্তু প্রতি বছর নবায়ন খুব কম হয়।
নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। তারা ব্যাংকে ব্যাংকে ঘুরেও ঋণ পাচ্ছেন না। বরং পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন নারী উদ্যোক্তারা। সরকার করোনা সংকট উত্তরণের যে ঋণ প্রণোদনা প্যাকেজ সুবিধা দিয়েছে, তার সুফল তৃণমূল পর্যায়ের নারী উদ্যোক্তারা পাচ্ছেন না। আবার বিদেশে পণ্য পাঠানোর পর সরকার যে নগদ প্রণোদনা দেয়, তা নারী উদ্যোক্তারা নিতে পারছেন না। কারণ ওই প্রণোদনা নিতে উদ্যোক্তাদের অনেক ধরনের কাগজপত্র জমা দিতে হয়। কিন্তু নারী উদ্যোক্তাদের পক্ষে তা তৈরি করা সম্ভব হয় না।
এ ক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য পৃথক নীতিমালা তৈরি করে সহায়তা প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। ’

Manual2 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ