আট বছরে পা রাখলো বাংলা ট্রিবিউন

প্রকাশিত: ৭:৫৫ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০২১

আট বছরে পা রাখলো বাংলা ট্রিবিউন

বিশেষ প্রতিনিধি | ঢাকা, ১৩ মে ২০২১ : আজ বাংলা ট্রিবিউনের জন্মদিন। একঝাঁক স্বপ্নবান তরুণকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৪ সালের এইদিন যাত্রা শুরু করেছিল বাংলা ট্রিবিউন। পাঠকের প্রতি দায়বদ্ধতা ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে নিঃসংকোচে সংবাদ প্রকাশে ইতোমধ্যে পেয়েছে পাঠকপ্রিয়তা। এই বিশেষ দিনে বাংলা ট্রিবিউন জানাচ্ছে পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পথে সাত বছর পেরিয়ে আজ ১৩ মে আট বছরে পা রাখলো বাংলা ট্রিবিউন। সংবাদের যথার্থতাকে গুরুত্ব দিয়েই এগিয়ে চলা এই অনলাইন নিউজপোর্টালের পাঠকের কাছে অঙ্গীকার–কম কথায় সব কথা। কোনও রকম চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার অঙ্গীকারে বাংলা ট্রিবিউনের সবচেয়ে বড় শক্তি তার পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীরা।

বাংলা ট্রিবিউন শুরু থেকেই প্রচলিত অনলাইন ধারণার বাইরে নতুন কিছু করতে চেয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি সঠিক তথ্য পরিবেশনের যে চ্যালেঞ্জ সেটি বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এ সময়ের সাংবাদিকতা মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার দাবি করে। পাঠক সংবাদ পড়ার পাশাপাশি দেখতে চান ঘটনার ছবি-ভিডিও। সেই চাহিদা পূরণ করতেই বাংলা ট্রিবিউন প্রয়োজনীয় অডিও-ভিডিও উপস্থাপনের পাশাপাশি নিয়মিত সংবাদের বিশ্লেষণধর্মী লেখা ও অনুষ্ঠান উপস্থাপন করে আসছে।

মহামারিকালে বাংলা ট্রিবিউন তার কর্মীদের বাসায় নিরাপদে থেকে কাজ করারও সুযোগ দিতে পেরেছে।

বাংলা ট্রিবিউনের অষ্টম বছর শুরুর মুহূর্তে লক্ষ্য ও পথচলা নিয়ে পত্রিকাটির সম্পাদক জুলফিকার রাসেল বলেন, “গত সাতটি বছর বাংলা ট্রিবিউন পেশাদারিত্বের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেওয়ার কাজ করেছে। সংবাদ প্রকাশে আমরা নৈতিক জায়গার সঙ্গে আপস করিনি। আগামীতেও সেই চেষ্টা থাকবে। অনলাইন জগতে সচরাচর ‘আগে চলো’ নীতির কারণে সঠিক তথ্য পরিবেশনে ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। আমরা সেই প্রতিযোগিতায় না নেমে সংবাদে তাৎক্ষণিকতার পাশাপাশি দায়িত্বশীলতারও পরিচয় দিতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলেছি, কোন চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে নিজেদের কাজটি করার কারণেই পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে বাংলা ট্রিবিউন। আমরা সততার প্রশ্নে শতভাগ শ্রম দিয়েছি। আগামীতেও আমাদের কর্মীরা সম্মিলিতভাবে সততার সঙ্গে শ্রম দেবেন প্রত্যাশা করি। আর সেটিই আমাদের পাঠকদের প্রতি দায়বদ্ধতা।’

সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, ‘বাংলা ট্রিবিউন অনলাইন জগতে নতুন ধারা তৈরি করেছে। আমি বিশ্বাস করি এ ধরনের অনলাইন নিউজপেপার যদি সাংবাদিকতার মাপকাঠিতে বিচার করা যায়, যদি প্রভাবিত না হয়ে রিপোর্ট করার, অর্থের কাছে আত্মসমর্পণ না করে কাজ করার, কোথাও মগজ বন্ধক না রেখে স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ পায়, তাহলে তা জনমানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। আমরা যারা মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন ভাবনাকে লালন করি, যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ, যারা সাংস্কৃতিক অধিকার নিয়ে কথা বলি, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় যারা বিশ্বাস করি, তারা এরকম প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাক, সেটি চাই।’

বাংলা ট্রিবিউন টিমে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছেন হেড অব নিউজ মাসুদ কামাল। তিনি বলেন, ‘অনলাইনের কিছু সীমাবদ্ধতা ও সুবিধা দুই-ই আছে। সুবিধা হলো দ্রুত পাঠকের কাছে পৌঁছানো। গত ৭ বছর ধরে বাংলা ট্রিবিউন সেই কাজ যথাযথভাবে করতে পেরেছে। আগামী বছরগুলোতেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রে আরও বেগবান হবে, সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে মহামারিকালে সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশনে পরিবর্তন এসেছে। সেই পরিবর্তন মাথায় রেখে কীভাবে কাজ করা যায় সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।’

প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘প্রথমত বাংলা ট্রিবিউনের সকল কর্মীদের শুভেচ্ছা। গত বছরগুলোতে অনলাইন পত্রিকাটি মানুষের আস্থার জায়গা তৈরি করতে পেরেছে। গণমাধ্যমের জন্য বড় চ্যালেঞ্জের জায়গা পাঠকের বিশ্বাসযোগ্যতা জয় করা। বাংলা ট্রিবিউন সেটি করতে পেরেছে। বাংলা ট্রিবিউন তাদের গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে এবং সেটা ধরে রাখতে পেরেছে। তাদের উত্তরোত্তর অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। তাদের সংবাদ, সংবাদ বিশ্লেষণ সব মিলিয়েই তারা সঠিক সময়ে পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পারে। অনলাইনের জন্য সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

সাংবাদিক নেতা সাজ্জাদ আলম খান তপু মনে করেন, ‘এ মুহূর্তে গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার বিষয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। সেই ক্রান্তিকালে বাংলা ট্রিবিউন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। এটি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি। সংবাদকর্মীদের ন্যায্য অধিকারের প্রশ্নে তারা বরাবরের মতো যথেষ্ট যত্নশীল থাকবে, সেই কামনা করি। গুজব প্রতিরোধে যে পেশাদারিত্বের ছাপ তারা রেখেছে, আমাদের প্রত্যাশা তারা সেটি আগামীতেও ধরে রাখতে সক্ষম হবে।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত মোরসালিন নোমানী মনে করেন, ‘এখন যে কয়টি অনলাইন পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে তার মধ্যে বাংলা ট্রিবিউন অন্যতম। পাঠক হিসেবে আমি সব সময়ই অনলাইনটি পড়ি। তাৎক্ষণিকভাবে কোনও একটি ঘটনায় অনেক অ্যাঙ্গেলের নিউজ দেওয়ার যে ধরন বাংলা ট্রিবিউন রপ্ত করেছে সেটি অনন্য। এই জায়গাগুলো বাংলা ট্রিবিউনকে অনেকের থেকে আলাদা করেছে। অষ্টম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে বাংলা ট্রিবিউনের পাঠকসহ সব কর্মীকে শুভেচ্ছা।’

বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পথে সাত বছর পেরিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের আট বছরে পদার্পণ উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, “জনমতের প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল চিন্তার গণমুখী সাংবাদিকতার অনন্য নজির স্থাপন করুক বাংলা ট্রিবিউন। এবং এর উত্তরোত্তর সফলতা ও অগ্রগতি কামনা করছি। “

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ