শ্রীমঙ্গলে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে অপরাজিতাদের মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত: ১:২৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১

শ্রীমঙ্গলে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে অপরাজিতাদের মতবিনিময় সভা

Manual1 Ad Code

সৈয়দা হাজেরা সুলতানা শানজিদা, বিশেষ প্রতিনিধি | শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ : শ্রীমঙ্গলে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে অপরাজিতাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অপরাজিতা’র নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রকল্পের অাওতায় ডেমোক্রেসি ওয়াচ, রূপান্তর, খান ফাউন্ডেশন ও প্রিপ ট্রাস্টের যৌথ ব্যবস্থাপনায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিতালী দত্তের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১) সকাল ১১টায় উপজেলার কৃষি অফিসের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

Manual5 Ad Code

অপরাজিতা প্রকল্পের জেলা কো-অর্ডিনেটর মর্জিনা আক্তারের উপস্থাপনায় ও উপজেলা কো-অর্ডিনেটর তাহমিনা পারভীনের সহযোগিতায় এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান; জাতীয় পার্টির মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: কামাল হোসেন, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য ও লেখক আতাউর রহমান কাজল, সংবাদকর্মী ও মানবাধিকার কর্মী আমজাদ হোসেন বাচ্চু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)- এর উপজেলা শাখার সংগঠক প্রীতম দাশ প্রমূখ।

এতে অপরাজিতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সদস্যগণ যথাক্রমে পারভীন চৌধুরী, মাহমুদা অাক্তার বিউটি, রাবেয়া অাক্তার, বিউটি চৌধুরী, রোজী অাক্তার, ইস্কু, শাহিদা বেগম, মোসাম্মৎ খোদেজা, মিনারা বেগম, হান্না বেগম, প্রতিমা বাগতি, শোভা রানী গোয়ালা, সকিনা, রেজিয়া, অানোয়ারা বেগম, জেসমিন অাক্তার ও রত্না প্রমূখ।

Manual7 Ad Code

আলোচনাসভায় নারী নেতৃবৃন্দরা উল্লেখ করেন যে, “নারী জনপ্রতিনিধিরা শুধু নারীদের নয়, প্রতিনিধিত্ব করেন পুরুষ সমাজেরও। সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে নারী-পুরুষের সমানধিকার তথা ন্যায্য সুযোগ সুবিধা লাভের দিকনির্দেশনার আলোকে এ যাবত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা কৌশল ও পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বেশকিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যারমধ্যে ১৯৯১’র সংসদ নির্বাচনের পরে নির্বাচন কমিশনের জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী প্রথমবারের মতো দলীয় রাজনীতিতে সকল কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে শতকরা ৩০ ভাগ নারীর জন্য সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণের একটি বড় সুযোগ তৈরী হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোতে জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে সভাপতি বা সম্পাদক পদে নারীদের নির্বাচিত হতে দেখা যায় না। এ বিষয়ে নারীদের কি করণীয় তা আলোচনা করাটা খুবই জরুরী। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোতে যে নারীরা রয়েছেন তাদের চ্যালেঞ্জগুলো শুনা এবং সে অনুযায়ী এগুনোটা এখন সময়ের দাবী।”
সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, “নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন যদি না হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রে ক্ষমতায়ন হলেও তার কাঙ্খিত ফল আমরা দেখতে পাবো না৷ আমি মনে করি, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন অনেক বড় বিষয়৷ এটা চর্চার মাধ্যমে আসতে হবে৷ সেটার জন্য চর্চার ক্ষেত্রটা তৈরি করতে হবে আমাদেরকে৷
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন হচ্ছে একটি রাজনৈতিক বিশ্বাস। এই দৃষ্ঠিভঙ্গী থেকে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।”

Manual5 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ