প্রথম পর্বে দেড় হাজার সাংবাদিক পাবেন ১০ হাজার টাকা করে অনুদান

প্রকাশিত: ৩:৪১ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২০

প্রথম পর্বে দেড় হাজার সাংবাদিক পাবেন ১০ হাজার টাকা করে অনুদান

ঢাকা, ১৯ জুন ২০২০: করোনা ভাইরাস মহামারীকালে সঙ্কটে পড়া দেড় সাংবাদিককে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এক বৈঠকের আগে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ট্রাস্টের তহবিল থেকে অনুদানের এই অর্থ দেওয়া হচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “ইতোমধ্যে দেশে প্রায় তিনশ সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। বেশ কজন সাংবাদিক বন্ধু মৃত্যুবরণ করেছেন। প্রতিকূলতার মধ্যেও তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ।

“কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও দুঃখজনকভাবে অনেক মিডিয়া হাউজ সঠিক সময়ে বেতন ভাতা দেননি। অনেক হাউজে অনেক সাংবাদিক চাকরিচ্যুতির শিকার হয়েছেন।”

এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “দুস্থ, অসহায় হয়ে পড়া সাংবাদিকদেরকে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে যাতে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়, সেই লক্ষ্যে আমরা পূর্বের সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সভায় যারা চাকরিচ্যুত, দীর্ঘদিন ধরে বেতন পাচ্ছেন না, এ ধরনের সাংবাদিকদের এককালীন ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলাম। সেই অনুদানের প্রথম পর্যায়ে যারা সহায়তা পাবেন তাদের তালিকাটি চূড়ান্ত করব।”

এই তালিকাটি সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতারাই ঠিক করেছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “তা আজকের সভায় উপস্থাপনের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করা হবে।

“প্রথম পর্যায়ে দলমত নির্বিশেষে দেড় হাজার সাংবাদিকের তালিকা আমরা চূড়ান্ত করব। পরবর্তী পর্যায়ে আরও সাংবাদিক এ সহায়তা পাবে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তারা চেক গ্রহণ করবে।”

সংবাদ সম্মেলনে হাছান মাহমুদ বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং একইসাথে নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত হয়ে পড়ায় সেই ঈর্ষা ও শঙ্কা থেকে রিজভী আহমেদসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ যে বক্তব্যগুলো রাখছেন, তা উদভ্রান্তের প্রলাপের মতো।”

বাজেট পাসের আগেই মোবাইল অপারেটররা অতিরিক্ত টাকা কেটে রাখছে -এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রথমত বাজেট পাস হওয়ার আগেই মোবাইলে যদি অতিরিক্ত টাকা কাটা শুরু হয়ে থাকে, এটি অন্যায়।”

তথ্যসচিব কামরুন নাহার, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদ, নির্বাহী কমিটি সদস্য বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ