মূল্যস্ফীতি, দুর্নীতি, বৈষম্য, অর্থপাচার ও ব্যাংকিং খাতের নৈরাজ্য অর্থনীতিসহ রাষ্ট্র ও সমাজকেও অস্থিতিশীল করে তুলেছে: ওয়ার্কার্স পার্টি

প্রকাশিত: ৩:২৫ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২৪

মূল্যস্ফীতি, দুর্নীতি, বৈষম্য, অর্থপাচার ও ব্যাংকিং খাতের নৈরাজ্য অর্থনীতিসহ রাষ্ট্র ও সমাজকেও অস্থিতিশীল করে তুলেছে: ওয়ার্কার্স পার্টি

Manual5 Ad Code

বিশেষ প্রতিনিধি | ঢাকা, ০১ জুন ২০২৪ : “মূল্যস্ফীতি, দুর্নীতি, বৈষম্য, অর্থপাচার ও ব্যাংকিং খাতের নৈরাজ্যের বাস্তবতা অর্থনীতি কেবল নয়, রাষ্ট্র ও সমাজকেও অস্থিতিশীল করে তুলেছে। অর্থনীতি ক্ষেত্রে গত সময়কালে যে অর্জনসমূহ হয়েছিল তা এখন বিপন্ন। এই বাস্তবতাকে পরিবর্তন করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।”

শনিবার (১ জুন ২০২৪) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জেল হোসেন মানিক মিঞা হলে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির বাস্তবতা: সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।”

Manual8 Ad Code

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধে একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ড. মঈনুল ইসলাম বলেন, শাসকদের ভুলে ও খামখেয়ালিপনার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিপদের সম্মুখীন।

Manual2 Ad Code

তিনি বলেন, গত দু’বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে কয়টি বড় সংকটে রয়েছে সেগুলো হল : বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বিপজ্জনক পতনের ধারা, অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে বেলাগাম মূল্যস্ফীতির প্রকোপ, প্রবাসী বাংলাদেশীদের রেমিট্যান্স প্রেরণে গেড়ে বসা হুন্ডি ব্যবসার ক্রমবর্ধমান প্রভাবে ফর্মাল চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহে স্থবিরতা, ডলার সংকটের কারণে আমদানি এলসি খুলতে জটিলতা, বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে হু হু করে ডলারের দাম বেড়ে ২০২১ সালের ৮৭ টাকা থেকে ২০২৪ সালের মে মাসে ১২৭ টাকায় উলম্ফন, বাংলাদেশী টাকার বৈদেশিক মানের প্রায় ৪৬ শতাংশ অবচয়ন, আমদানিতে ওভারইনভয়েসিং ও রফতানিতে আন্ডারইনভয়েসিং পদ্ধতিতে দেশ থেকে বিদেশে ব্যাপক পুঁজি পাচার, হুন্ডি পদ্ধতিতে দেশ থেকে বিদেশে ক্রমবর্ধমান ব্যাংকঋণ পাচার, খেলাপি ব্যাংকঋণ সমস্যার বিপজ্জনক অবনতি, রফতানি আয় দেশে ফেরত না এনে সেগুলো দিয়ে বিদেশে ঘরবাড়ি—ব্যবসাপাতি ক্রয়, দুনীর্তি, পুঁজি লুন্ঠন ও পুঁজি পাচার সম্পর্কে সরকারের অব্যাহত নিষ্ক্রিয়তা, দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্টসের কারেন্ট একাউন্টে ঘাটতি পরিস্থিতি, ব্যালেন্স অব পেমেন্টসের ফাইনেন্সিয়াল একাউন্টে ঘাটতি পরিস্থিতি এবং ২০২৩—২৪ অর্থ—বছরে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া।

Manual1 Ad Code

আলোচনা সভার সভাপতি জননেতা রাশেদ খান মেনন বলেন, রাজনীতির দুর্নীতি—দৃবৃর্ত্তায়ন না কমাতে পারলে দেশের অর্থনীতির এই সংকট কখনই কমানো যাবে না। ডলার সংকটের মূল্য দিচ্ছে এদেশের জনগণ। যার ফলে মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে। জনগণকে দিতে হচ্ছে বাড়তি কর। আর এদিকে সংসার চলে না জনগণের।

Manual5 Ad Code

আলোচনা সভার সার সংক্ষেপে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক দূরাবস্থা তার বিরুদ্ধে ওয়ার্কার্স পার্টিকেই লড়াই করতে হবে।

এছাড়াও আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড অধ্যাপক ড. সুশান্ত দাস।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ