শ্রীমঙ্গলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অফিসে আবেদন করে ৩ মাসেও মিলেনি তথ্য

প্রকাশিত: ১:০০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২৫

শ্রীমঙ্গলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অফিসে আবেদন করে ৩ মাসেও মিলেনি তথ্য

Manual7 Ad Code

বিশেষ প্রতিনিধি | শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), ২৫ নভেম্বর ২০২৫ : শ্রীমঙ্গল উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দকৃত গরু বিতরণ, ঘর নির্মাণ, পিজি গ্রুপের হাস–মুরগি সরবরাহ, খাদ্য ও ওষুধ বরাদ্দ এবং ঘাস প্রকল্পসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব প্রকল্পের তথ্য সংগ্রহে গিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে বলা হলেও আবেদনের তিন মাস পরও প্রয়োজনীয় তথ্য পাননি সাংবাদিক মো. এহসানুল হক। তিনি দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকার মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি ও শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ।

এহসানুল হক জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে তথ্য অধিকার আইনে তিনি আনুষ্ঠানিক আবেদন করেন। আইনে নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য তিনি পাননি। বিষয়টি তিনি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও তুলে ধরেছেন।

Manual3 Ad Code

অনিয়মের অভিযোগ

স্থানীয় সূত্র ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দকৃত প্রকল্পগুলোতে—

গরু বিতরণ,
ঘর নির্মাণ,
পিজি গ্রুপের বরাদ্দকৃত হাস-মুরগি বিতরণ,
খাদ্য ও ওষুধ বরাদ্দ,
ঘাস চাষ প্রকল্প।

এসবের বাস্তবায়নে অনিয়ম, স্বচ্ছতার ঘাটতি এবং প্রকল্পের অর্থায়ন ও উপকরণ বণ্টনে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, হাস-মুরগির ঘর নির্মাণে বাইরের ঠিকাদার না নিয়েই প্রাণিসম্পদ অফিসের এক এলএফএ নিজেই ঠিকাদারির দায়িত্ব নেন।

Manual4 Ad Code

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বক্তব্য

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন,
“দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মো. এহসানুল হক কিছু তথ্য নিয়ে গেছেন। বাকি তথ্য দেওয়ার জন্য তাকে ফোন করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি ধরেননি।”

সব তথ্য লিখিতভাবে পেতে আরও কতদিন লাগতে পারে—এ প্রশ্নে তিনি কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা জানাননি।

স্থানীয়দের দাবি

স্থানীয় নৃ-গোষ্ঠীর কয়েকজন প্রতিনিধি জানান, প্রকল্পগুলোর সুবিধাভোগীদের তালিকা ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের মধ্যেও প্রশ্ন রয়েছে। তারা স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।

তথ্য অধিকার আইন কী বলে

তথ্য অধিকার আইনে সরকারি দপ্তরগুলোকে সাধারণত ২০ কার্যদিবসের মধ্যে আবেদনকারীকে তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য। জটিল তথ্য হলে অতিরিক্ত ১০ কার্যদিবস সময় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে তিন মাস অতিবাহিত হলেও তথ্য না পাওয়ায় আবেদনকারীর পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।

Manual7 Ad Code

প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ এবং তথ্য অধিকার আইনের আবেদনে বিলম্ব—দুটিই স্থানীয় পর্যায়ে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

Manual6 Ad Code

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ