পারিবারিক পর্যায়ে প্লাাস্টিক বর্জ্য পৃথকীকরণের জন্য বিশেষজ্ঞদের আহবান

প্রকাশিত: ৫:৪৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২৩

পারিবারিক পর্যায়ে প্লাাস্টিক বর্জ্য পৃথকীকরণের জন্য বিশেষজ্ঞদের আহবান

Manual8 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ২৮ নভেম্বর ২০২৩ : পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা আজ এক কর্মশালায় গৃহস্থালী পর্যায়েই জৈব ও ও অজৈব বর্জ্যের পৃথকীকরণের ওপর জোর দিয়েছেন। কারন হিসেবে তারা উল্লেখ করেছেন, দেশের ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্যই সরাসরি আবর্জনা হিসেবে প্রকৃতিতে ফেলা হচ্ছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেন, ‘দেশের মোট প্লাস্টিক বর্জ্যের ৫০ শতাংশেরও বেশি রিসাইকেল হচ্ছে না, পরিবেশের অবনতি রোধের জন্য আমাদের সব প্লাস্টিক বর্জ্যকে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের উপকরণে পুনর্ব্যবহার করতে হবে।’

Manual8 Ad Code

তিনি সরকারকে বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক টেকসই প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন করতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্লাস্টিক রিসাইক্লিং শিল্পের জন্য সহায়তা প্রকল্প শুরু করার পরামর্শও দেন। স্থানীয় একটি বেসরকারি সংস্থা- রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (আরআইসি) রাজধানীতে তাদের ‘টেকসই এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি)’ এর অধীনে ‘উদ্ভাবনী প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও বিপণন সংযোগ’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োাজন করে।

Manual5 Ad Code

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতিখার আহমদ চৌধুরী, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৩) বাবর আলী মীর, আরআইসি মহাব্যবস্থাপক আলাউদ্দিন খানও সেখানে বক্তব্য রাখেন।

অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ডিএসসিসি প্রতিদিন ১৫ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্যসহ মোট ২৭০০-৩০০০ টন আবর্জনা সংগ্রহ করে।

তিনি তাদের বাড়িতে এবং কর্মস্থলে সমস্ত জৈব এবং অ-জৈব বর্জ্য পৃথকীকরণে উৎসাহিত করার জন্য মূল স্তরে সচেতনতা তৈরি এবং আচরণগত পরিবর্তনের প্রচার চালানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

Manual7 Ad Code

চৌধুরী বলেন, ঢাকাবাসী পরিচ্ছন্ন প্লাাস্টিক বর্জ্য তৈরি করতে পারলে প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের পরিমাণ দ্রুত বাড়বে।

ডিএসসিসি’র বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রধান প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্যের প্রচারের উপর জোর দেন, যাতে ছোট বিক্রেতারাও বর্জ্য পুনর্ব্যবহার থেকে উপকৃত হয়।

বাংলাদেশ প্লাাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) মতে, বাংলাদেশে প্লাস্টিক ব্যবহারের প্রবৃদ্ধি প্রতি বছর ২০ শতাংশ। এ্যাসোসিয়েশন ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে বাংলাদেশে প্লাস্টিক ব্যবহারের বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকবে, কারণ বর্তমানে দেশের মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার বিশ্ব-গড়ের ৪৫ কেজির তুলনায় মাত্র ১৭ কেজি।

উল্লেখ্য, আরআইসি ঢাকার লালবাগ, ইসলামবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ‘অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারযোগ্য শিল্প তৈরিতে সহায়তা’ নামে একটি উপ-প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

Manual1 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ