শোকাবহ মিরসরাই ট্রাজেডির ১৩ বছর

প্রকাশিত: ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২৪

শোকাবহ মিরসরাই ট্রাজেডির ১৩ বছর

Manual3 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক | মিরসরাই (চট্টগ্রাম), ১১ জুলাই ২০২৪ : মিরসরাই ট্রাজেডির ১৩ বছর পূর্ণ হলো আজ।

Manual8 Ad Code

স্বজনের বুকফাটা আহজারীতে এখনো ভারী হয় আবু তোরাবের আকাশ বাতাস। চোখের জল শুকিয়ে শোকে পাথর। এখনো গভীর রাতে ভেসে আসে কান্নার রোল। স্মৃতি বলতে শুধুই ছবির ফ্রেম। নাড়িছেঁড়া ধন ছেলেকে হারিয়ে মা-বাবা সেই ছবি বুকে আঁকড়ে ধরে আহাজারি করেন। কখনো হয়ে যান নির্বাক।

Manual3 Ad Code

২০১১ সালের ১১ জুলাই মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া-আবু তোরাব সড়কে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় স্কুলছাত্রসহ ৪৫ জন। শোকাহত পরিবারগুলোকে সান্তনা দিতে ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়া, সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দৌজা চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ বিদেশি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

সেদিন যা ঘটেছিল:

Manual8 Ad Code

দিনটি ছিল ১১ জুলাই, সোমবার। মিরসরাই স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনাল জিতে মিনি ট্রাকে ফিরছিল সবাই। বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের সৈদালী এলাকায় ট্রাকটি উল্টে ছিটকে পড়ে ডোবায়। ঘটনার পরপর ডোবার পানি থেকে উদ্ধার হয় লাশ আর লাশ। অন্যদিকে ছেলের মৃত্যুর খবরে হৃদক্রিয়া বন্ধে মারা যান হরনাথ। সব মিলিয়ে ৪৫ জনের প্রাণের বিনিময়ে রচিত হয় মিরসরাই ট্র্যাজেডি।
আবু তোরাব বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৪ জন শিক্ষার্থী প্রাণ হারায় এই দুর্ঘটনায়। এছাড়া আবু তোরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনজন, প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের দুজন, আবু তোরাব ফাজিল মাদরাসার দুজন এবং আবু তোরাব এস এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থী মারা যায়।

এ রকম একসঙ্গে এতোজন সতীর্থ হারানো দিন বাংলাদেশ দেখেনি, ওদের বন্ধুরা হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। অনেকে বারবার মুর্ছা যান। এখনো তাদের মনের দাগ শুকায়নি। আজও সতীর্থদের মৃত্যুতে শোকাহত আবু তোরাবের জনপথ।

 

Manual7 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code