২০ ডিসেম্বর সিলেটে শুরু হচ্ছে দুইদিনব্যাপী ‘হাছন উৎসব ২০২৫’

প্রকাশিত: ১০:৪১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২৫

২০ ডিসেম্বর সিলেটে শুরু হচ্ছে দুইদিনব্যাপী ‘হাছন উৎসব ২০২৫’

Manual3 Ad Code

বিশেষ প্রতিনিধি | সিলেট, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ : প্রখ্যাত মরমী কবি ও দার্শনিক হাছন রাজার স্মৃতিকে ধারণ করে সিলেটে আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুইদিনব্যাপী “হাছন উৎসব–২০২৫”।

সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চৌহাট্টায় আয়োজিত এ উৎসবের আয়োজন করছে হাছন রাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, সিলেট–বাংলাদেশ।

শনিবার ও রোববার (২০ ও ২১ ডিসেম্বর), দুই দিনই বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে উৎসব। লোকসংগীত, বাউলগান, গবেষণা–আলোচনা, লোকচর্চা বিষয়ক সেমিনার, হাছন রাজার জীবন ও দর্শন নিয়ে প্রামাণ্য আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ভরে উঠবে উৎসবস্থল।

Manual6 Ad Code

হাছন রাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি ডা. জহিরুল ইসলাম (অচিনপুরী) ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মো. সোলেমান হোসেন চুন্নু এক আমন্ত্রণপত্রে বলেছেন, “হাছন রাজা ছিলেন বাংলার লোকসংস্কৃতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর দর্শন ও সৃষ্টিশীলতার চর্চা যত বিস্তৃত হবে, ততই সমৃদ্ধ হবে আমাদের মানবিকতা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। তাই স্ব–বান্ধবে সকলকে হাছন উৎসব–২০২৫ এ উপস্থিত হয়ে উৎসবকে সফল ও বর্ণিল করে তোলার অনুরোধ জানাই।”

Manual4 Ad Code

উৎসবের সফলতা কামনা করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান এক বিবৃতিতে বলেন,
“প্রথিতযশা মরমী কবি, বাউল শিল্পী হাছন রাজা এক মহান দার্শনিক। অধ্যাত্মবাদ ও দার্শনিক চিন্তার নিরিখে লালনের পরই সর্বোচ্চ উচ্চারিত নাম হাছন রাজা। তাঁর দর্শনচেতনায় উদ্ভাবিত লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতির সংস্পর্শে যে কেউ আলোকিত ও সমৃদ্ধ হন। হাছন রাজার দর্শন, লোকসাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্টদের সৃজনশীলতা, সাংস্কৃতিক অবদান ও নেতৃত্বগুণ মৌলভীবাজারসহ জাতীয় পর্যায়ে আরও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক—এটাই কামনা করি।”

জনপ্রিয় মরমী কবিতা “লোকালয় বহু দূরে, অচিন দেশে রে”, “মায়া লাগাইছে এই মন”, “কে চেনায়ল পরান–বন্ধু রাঙা মাটির দেশ”—এসব গানের স্রষ্টা হাছন রাজা বাংলা লোকসংস্কৃতিতে যে অবদান রেখে গেছেন, তাকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতেই এ উৎসবের আয়োজন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

উৎসবে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বাউল–শিল্পী, গবেষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও লোকসাহিত্য–চর্চাকারীরা অংশ নেবেন। পাশাপাশি হাছন রাজা সম্পর্কিত গবেষণাধর্মী বইয়ের প্রদর্শনী, ছবি প্রদর্শনী ও লোকজ উপকরণ প্রদর্শনীও থাকবে।

হাছন রাজার মানবিক ও দার্শনিক দর্শনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট এ দুইদিনব্যাপী উৎসব সিলেটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের।

Manual7 Ad Code

 

Manual7 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ