“বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চা-শিল্প”

প্রকাশিত: ৮:৫৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০২০

“বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চা-শিল্প”

Manual6 Ad Code

|| রাজু দেশোয়ারা || ০৫ অাগস্ট ২০২০ : শস্য-শ্যামলে, সবুজের বন্ধনে অলংকৃত সদা-উৎপাদনশীল এই আটষট্টি হাজার গ্রামের সোনার বাংলাদেশ। তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল এই দেশটি তার বুকে যেমন ধারণ করেছে বহুরুপী প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ, তেমনি ধারণ করেছে উদ্যম, তেজ এবং শত্রুর দেয়াল ভাঙার এক গগণচুম্বী সাহস। সেই প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত যতবারই এই জনপদ শিকার হয়েছিলো অসুরের হিংস্র আক্রমণে ঠিক ততবারই এই জনপদের ভেতরে নিদ্রিত ঐ উদ্যম ও তেজ জাগ্রতচিত্তে গড়েছে প্রবল প্রতিবাদ। আর এই লুকায়িত আত্মিক শক্তি যখন শত্রুর বিনাশে বিশ্রামে, তারপরেই এগিয়ে এসেছে এই বাংলার প্রাকৃতিক সম্পদ। সারাবাংলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ এই বাংলার বিনির্মানে সহায়তা করে এসেছে প্রচুর। শুধু অর্থনৈতিক অবদান নয়, বাংলার শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির নির্যাস বাংলার প্রকৃতি ও কৃষির কারুকার্যেই গড়া। মানিক বন্দোপাধ্যায়ের “পদ্মা নদীর মাঝি”তে যেমন বাংলার নদীমাতৃকার সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে, ঠিক তেমনি বাংলার প্রাকৃতিক “ধন-ধান্যের” কীর্তন শুনিয়েছে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গান। তবে মুদ্রার অপিঠও আছে। বাংলার শিল্প-সাহিত্যে এই জনপদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিভিন্ন স্বরুপ উঠে আসলেও, বরাবরের মতো উপেক্ষিত থেকেছে চা-শিল্পের জয়গাঁথা। অথচ শুধুমাত্র প্রাকৃতিক যোগান নয়, ভ্রমণ-ব্যবসায়ও এই শিল্পের রয়েছে জনমনে একটি আলাদা-কদর। বছরের প্রায়সময়ই দেশের ভ্রমণপিয়াসী মানুষ ভিড় করে সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন চা বাগানগুলোতে। বলা বাহুল্য, শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি দিয়ে এক আত্মিক প্রশান্তির যোগান দিয়ে আসছে বাংলার প্রকৃতির এই অন্যতম ব্র্যান্ড-এম্বাসেডর। তবু এতকিছুর পরেও, শিল্প-সাহিত্যে প্রায়ই উপেক্ষিত এই শিল্প। চা-শিল্পের ইতিহাস, পরিসংখ্যান কিংবা চা-শ্রমিকদের যাবতীয় সুখ-দুঃখ নিয়েও খুব বেশী বই লেখা হয়নি। যদিও পত্রপত্রিকায় চা শিল্প ও শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষিপ্ত আকারে বহু লেখা চোখে পরে প্রায়শই। তবে এগুলো তরুণ প্রজন্মের জানার আগ্রহ মেটাতে অপারগ৷

Manual4 Ad Code

এই বিষয়গুলো বিবেচনা রেখেই লেখক রাজু দেশোয়ারা’র লেখা বই- “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চা-শিল্প”। উপমহাদেশের চা শিল্পের ইতিহাস, চা-শ্রমিকদের জীবনমান নিয়ে চিন্তার উদ্রেককারী আলোচনার পাশাপাশি এই বইয়ে উঠে এসেছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চা-শিল্প নিয়ে যত অবদান ও রুপকথা, যা প্রায়শই উপেক্ষিত থাকে শহুরে বুদ্ধিজীবীদের আলোচনার বাইরে। চা-শিল্পের সাথে জড়িত গবেষক, চিন্তক ও সর্বোপরি পাঠকসমাজ এই আশা ব্যক্ত করছেন যে, সাহিত্য মানদণ্ডের বিচারেও ব্যতিক্রম স্থান দখল করা এই বইটি তরুণ প্রজন্মের চা-শিল্প ও তার শিল্পীদের (শ্রমিক) নিয়ে জানার আগ্রহ মেটাতে সক্ষম হবে।

Manual6 Ad Code

বি.দ্র: বইটি পেতে অর্ডার করুন রকমারি.কম অথবা প্রকাশক (০১৭১-৯৮৪৩১০৬, ০১৮২৪-৬০০৫৫৯) এর সাথে যোগাযোগ করুন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code